সমীরণ রায়: [২] ঈদের পর স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সরকারকে কঠোর থেকে কঠোরতর হওয়ারও পরামর্শ দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আরও বলেন, ঈদের ছুটির পর রাজধানীমুখী মানুষের জন্য ঢাকার কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এবার প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ ঈদের কারণে রাজধানী ছেড়েছেন। তাদের অনুরোধ করবো তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন এবং রাজধানীতে ফিরে এসেও মানেন। কারণ এমনটা না হলে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হবে। ঈদের আগে হয়তো মানবিক কারণে কিছুটা শিথিল ছিল অবস্থা, তবে এখন কঠোর হতে হবে।
[৩] ঈদের ছুটির পরেও শপিং সেন্টার ও বিপণিবিতানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ডিএনসিসি আরও কঠোর হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য আমরা নিয়মিত অভিযান করেছি। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি সেখানে শপিংমল ও দোকান বন্ধ করেছি। কিন্তু বন্ধ করলেই তাদের পরিবার আবার আমার বাসার সামনে চলে আসতো। এটাই বাস্তবতা। তবে ঈদের পর এগুলো আর মানা হবে না। কঠোর অবস্থানে যাবে ডিএনসিসি।
[৪] আতিকুল ইসলাম বলেন, এ সময়টা কিন্তু ডেঙ্গু মশার লার্ভা প্রজননের জন্য আদর্শ। তাই আমি বলবো, এ বিষয়েও আমাদের সতর্ক হতে হবে। আমরা করোনা থেকে বাঁচতে যেমন মাস্ক পরছি, হাত-মুখ ধুচ্ছি, তেমনি ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে প্রতি তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন। এটা অভিজাত মশা, অভিজাত এলাকায় হয়। তাই আমাদের খোলা টবে, অব্যবহৃত কমোডে, অব্যবহৃত টায়ারে এডিস মশার লার্ভা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
[৫] এর আগে ডিএনসিসি মার্কেটে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ঈদ উপহার দেন ডিএনসিসি মেয়র। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাছিরের কাছে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন আতিক। এরপর কুর্মিটোলা কোভিড হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছেও সেসব হাসপাতালে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী দেন ডিএনসিসি মেয়র।
[৬] শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও