মিনহাজুল আবেদীন: [২] বুধবার ডিবিসি টিভির এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রেমের অভিনয় করে কৌশলে ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া। তারপর মারধর করে নারীদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে বø্যাকমেইল করা হয়। কিন্তু চাহিদা মতো টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়ে ছবি-ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে আবার বø্যাক মেইল করা হয়। টাকা না পেলে ছড়িয়ে দেয়া হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রকম ভয়ভীতিও দেখানো হয়।
[৩] জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বছর খানেক আগে লামিসা ও সারা নামে দুজনের সঙ্গে পরিচয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর। এরপর তাকে বাসায় ইফতারের দাওয়াত দিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফ্ল্যাটে নেয়া হয়। চক্রের পুরুষ সদস্যরা হাজির হয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে মারধর করে। পোশাক খুলে ভিডিও করে। চক্রের নারী সদস্যরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে অভিনয় করে।
[৪] ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তার কাছ থেকে কয়েক দফায় চক্রটি হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। পরে ছবি ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে আবার পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে।
[৫] ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (গোয়েন্দা) উপ কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, এই চক্রে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই কাজ করে। যখন ভিক্টিম কোনও মেয়ের কাছে যায়, তখন সে অভিনয় করে যে সে অন্যদের চিনে না। চক্রের প্রতিটি সদস্যের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তারা কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রী। নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, উচ্চাবিলাসীতা তাদের এ পথে নিয়ে এসেছে। সম্পাদনা:
আপনার মতামত লিখুন :