ফজলুল বারী: খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা নিয়ে বিএনপির চালাকি সরকার ধরে ফেলেছে। আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে তা আরও স্পষ্ট হলো। মন্ত্রী বলেছেন, এর আগে পরিবার আবেদন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিশেষ ক্ষমতাবলে খালেদার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসার সুযোগ করে দিয়েছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় এটা করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধিতে এখনো সুযোগ আছে। তবে এখন উদ্যোগ নিতে হবে খালেদা জিয়াকে। তিনি ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা মওকুফের বিষয় বিবেচনা করতে পারেন।
এভাবে বিএনপি যে গেম খেলতে চেয়েছিলো সরকার সে বলটি এখন বিএনপির কোর্টে ঠেলে দিয়েছে। তারা বরাবর বলে আসছে, এটা একটি ভুয়া মামলা। কিন্তু সত্য হচ্ছে এতিমখানার জন্য বিদেশ থেকে টাকা এসেছে। সে টাকা সরকারি তহবিল থেকে ব্যক্তির একাউন্টে ট্রান্সফার হয়েছে। বাংলাদেশের কোথাও এখন পর্যন্ত সে এতিমখানার অস্তিত্ব নেই। সরকার এর মাঝে খালেদার চিকিৎসার সব খবর নিয়েছে। এরপরও খালেদা যদি ক্ষমা চেয়ে সাজা মওকুফের আবেদন করেন তা বিবেচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। এই আবেদন করতে হয় দন্ডিত ব্যক্তিকে। ভাই-বোন-ভাবী বা অন্য কেউ নন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :