নুর উদ্দিন মুরাদ: [২] সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় আসা অসহায় মতিলালের পাশে দাঁড়িয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউল হক মীর।
[৩] উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডস্থ মতিলাল তার স্ত্রী তরু বালাকে নিয়ে গত ১০ বছর খুব কষ্টে পুকুর পাড়ে প্লাস্টিকের কোনো রকম ছাপড়া দিয়ে থাকতেন পুকুর পাড়ে।অবশ্য তাদের সন্তানেরা টিনের ঘরে বেশ আরামেই থাকতেন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে।
[৪] মতি লাল -তরু বালা দম্পতির তিন সন্তানের দু সন্তান তাদের বাড়িতেই থাকেন, অন্যজন থাকেন প্রবাসে আর তার স্ত্রী সন্তান থাকে শশুর বাড়ী।
[৫] মতিলাল প্রায় ২০ বছর বসুরহাট পৌরসভায় সুইপার পোস্টে কাজ করেছেন।বয়স হয়েছে, এখন আর সে শক্তি নেই।গত কয়েক বছর তরু বালাকে নিয়ে ভিজিডি কার্ডের চাল আর বয়স্ক ভাতার টাকা আর মানুষের দেয়া সাহায্য দিয়ে চলছিলেন কোনো রকম।সম্প্রতি সরকারের উদ্যোগ ছিলো ৬৫ বছরের উব্ধে যারা তারা ভাতার আওতায় আসবে।
[৬] কিন্তু মতি লালের বয়স ৭০ হলেও জাতীয় পরিচয় পত্রতে ৬৫ বছরের কম।তাই বাদ পড়লেন।ভিজিডি কার্ডের ক্ষেত্রে দু বছর কেউ চাল পেলে পরের দু বছর সে পায় না।সে আলোকে চালও পাওয়া বন্ধ।থাকা এবং খাওয়া দুটো নিয়েই কষ্ট শুরু হয়।
[৭] বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে জানতে পেরে ছুটে আসেন ইউএনও জিয়াউল হক মীর। এসময় তিনি তাদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন এবং সহসায় মতিলালের জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।
[৮] এছাড়াও আর্থিক সহায়তা নিয়ে মতিলালের পাশে দাঁড়িয়েছেন আখতারুজ্জামান ফাউন্ডেশন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোকিত মানবিক অর্গানাইজেশন।
আপনার মতামত লিখুন :