রিয়াজুর রহমান রিয়াজ : [২] চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৩২৩ সন্ত্রাসীর হালনাগাদ তালিকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের নাম অন্তর্ভূক্ত করায় বিস্ময় প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
[৩] সোমবার (১০ মে) গনমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান।
[৪] বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আবুল হাশেম বক্কর একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির মাধ্যমে তৃণমূল থেকে উঠে আসা আবুল হাশেম বক্কর কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং পরবর্তিতে সফলতার সাথে মহানগর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
[৫] বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। এই করোনাকালে তিনি অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী। সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সাথে জড়িত এমন একজন পরিছন্ন ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত করা বিস্ময়কর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে শুধু পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়নি, বরং পুলিশ যে দলীয় সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে তা নতুন করে প্রমাণ করেছে।
[৬] নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জোর করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে অবৈধ সরকারের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জুলুমবাজ সরকার দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে বাকশালী শাসনকে চিরস্থায়ী রূপদানের জন্য করোনা ভাইরাসের এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার নির্যাতন চালাচ্ছে।
[৭] লায়ন আসলাম চৌধুরী ও ডা. শাহাদাত হোসেনকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। আবুল হাশেম বক্করের বিরুদ্ধেও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার ক্ষান্ত হয়নি, এবার তাকে সন্ত্রাসী তালিকায় ঢুকিয়ে হয়রানির নতুন কায়দা শুরু করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে জননন্দিত নেতা আবুল হাশেম বক্করের সম্মানহানিরও প্রতিবাদ করছি।
[৮] নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে আবুল হাশেম বক্কর সহ নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। সম্পাদনা: জেরিন