সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু: যে যতো বড়াই করুক না কেন করোনাকালে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় আছেন ডাক্তার এবং ব্যাংকার যারা তারা। ‘ফ্রন্টলাইনার’ বলে যে যতো বড়াই করুক না কেন, তাদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় অন্য কেউ নেই। ডাক্তারদের ঝুঁকির বিষয়টা সবাই বুঝি, তাই তাদেরটা আলাদা করে বলছি না। কিন্তু ব্যাংকারদের কথা ভাবুন, প্রতিদিন আবদ্ধ চার দেয়ালের মধ্যে শত শত মানুষের ভীরের মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা শ্বাস নিতে হয়, বিচিত্র রুচির, হরেকপদের মানুষের হাতের টাকা ঘাঁটতে হয়, ওই বদ্ধ ঘরেই দুপুরের খাবার খেতে হয়। একটি বা দুটি বাথরুম কয়েক ডজন মানুষকে ব্যবহার করতে হয়। চাইলেও একটু নিরিবিলি, খোলা হাওয়ায় শ্বাস নেবার সুযোগ নেই। এখন প্রায় প্রতিটি ব্যাংকই এসি করা।
এসি করার জন্য জানালা বলে কিচ্ছু নেই। নতুন গবেষণা যখন বলছে বদ্ধঘরে ড্রপলেটের চেয়ে বিপজ্জনক বাতাসে দীর্ঘসময় ভেসে থাকার ক্ষমতাসম্পন্ন করোনার জীবানু। করোনার বাহকের শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে বাতাসে মিশে যাওয়া জীবাণু দীর্ঘসময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। সেই সময় বদ্ধঘরে কিলবিল করা মানুষের ভীরে এসির মতো বিপজ্জনক আর কিছু নেই। ব্যাংকারদের দশ বিশ মিনিট না, লম্বা একটা সময় এর মধ্যেই থাকতে হয়, এসির মধ্যেই থাকতে হয়। বলবেন বিকল্প কি? বিকল্প ভাবতে হবে, ব্যাংকার এবং ব্যাংকের গ্রাহক উভয়ের জন্যই।
এসি বন্ধ করে প্রতিটি ব্যাংকের প্রতিটি জানালা খোলা রাখার কথা ভাবা উচিত। সঙ্গে প্রতিটি ব্যাংকে পর্যাপ্ত এগজস্ট ফ্যান লাগানো উচিত যাতে ভিতরে গুমোট বাতাস জমতে না পারে। একটু চেষ্টা করলেই ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ফেসবুক থেকে