শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৮ মে, ২০২১, ০৯:২৮ রাত
আপডেট : ০৮ মে, ২০২১, ০৯:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যায়নুদ্দিন সানী: রকমারি খুব দুষ্টু

যায়নুদ্দিন সানী: এদেশের নামী দামী রাইটার বাহিনী দেখলাম রকমারীর বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে। 'রকমারি পচা'। নিজেদের বই বিক্রি না হওয়ার রাগ এরা ঝাড়ছে, এই অনলাইন বইয়ের দোকানটির ওপর। অ্যাজ ইফ, এই দোকানটা না থাকলে েদের বই দেদারসে বিক্রি হত।

যাই হোক, মূল আইডিয়াটা কার জানি না, তবে বেশ কো অর্ডিনেটেড ইফোর্ট চোখে পড়ছে। জনে জনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রসব করছে। মূল বক্তব্য একই। রকমারীর আসল উদ্দেশ্য ব্যবসা করা না। আরও গভীর ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত আছে এই প্রতিষ্ঠান। কাহিনী এখানেই থেমে নেই। আকাশ বাতাস থেকে যুক্তি এনে হাজির করে প্রমাণ করে দিচ্ছে, ব্যাবসার আড়ালে রকমারি আসলে...। রকমারীর আসল উদ্দেশ্য নিয়ে যেসব ইনভেস্টিগেটিং রিপোর্ট ঝাড়ছে, তাতে মনে হতে পারে শার্লক হোমস এখনও দুগ্ধ পোষ্য শিশু।

কাজটা তাঁরা কি এমনি এমনি করছে? কিংবা প্রশ্নটা যদি ঘুরিয়ে করি, ঠিক কবে থেকে এই গ্রুপ রকমারীর ওপর বেজার হয়েছে? ঠিকঠাক বোঝা যাচ্ছে না। আসলে এদেশে সেভাবে কোন বেস্ট সেলার লিস্ট কখনও হত না। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কারণে রকমারির পক্ষে এখান থেকে কেনা বইয়ের একটা সর্টেড লিস্ট দেয়া বেশ সহজ একটা ব্যাপার। কাজটা তাঁরা বিভিন্ন হেডিং এ ই করে থাকে। অনুবাদের টপ টেন, কিংবা উপন্যাসের টপ টেন। এভাবে একবার সম্ভবতঃ সর্বাধিক বিক্রিত হয়েছিল 'বান্ধবী'। সেবার ওরা সহ্য করে নেয়। তবে এবার, সহ্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায় যখন বইমেলার পরে রকমারীর প্রকাশিত 'আলো ছড়িয়েছেন যারা' শিরোনামের অ্যাড ক্যাম্পেইনে ওদের কারো নাম না এসে আসে সব হুজুর কিসিমের রাইটারদের নাম। ব্যাস আর যায় কোথায়... বাংলা ভাষা, সাহিত্য সব প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস তাঁরা পেয়ে যান। এরপরে শুরু হয় এদের জেহাদ। স্ট্যাটাস জেহাদ।

ওদের স্ট্যাটাস পড়ে মনে হল, 'আলো ছড়িয়েছেন' শব্দ দুটোতে বেশি খেপেছে। 'আলো ছড়ানো' শব্দদুটোর ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য এদের। এরা ছাড়া আর কারো ক্ষমতা নেই 'আলো ছড়াবার'। সূর্যের পরে যা কিছু নিজস্ব আলো এই সৌরমণ্ডলে আছে, তা আছে তাঁদের দখলে। তাহলে অন্য কেউ আলো ছড়ালো কিভাবে?

এদের দ্বিতীয় আপত্তি, ইসলামি বই কেন বেস্ট সেলার হবে। এসব বইয়ের বেস্ট সেলার লিস্টে আসা নিয়ে এদের অভিমান একেবারে বাচ্চা কাচ্চাদের লেভেলের, 'তোমার আব্বুর চেয়ে আমার আব্বু ভালো'। গোসসাটা হয়তোবা হজম করে ফেলতো, কিন্তু যখন দেখল, আরিফ আজাদের বইকে সাহিত্য বলা হচ্ছে, তখন এদের ঘুম হারাম হওয়ার যোগাড় হয়েছে। গ্রেট।

এনিওয়ে, কে কিভাবে রিয়াক্ট করবে, সেটা তাঁদের ব্যক্তি স্বাধীনতা। সেই হিসেবে ওদের স্ট্যাটাস দেখে, পাবলিক কি বুঝবে, সেটাও তাদের অধিকারে পরে। ওরা যেটা বুঝতে পারছে না, সেটা হচ্ছে, এসব নাকি কান্না টাইপ স্ট্যাটাস দেখে পাবলিক ঠিকই বুঝছে, এরা 'নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা' সিন্ড্রোমে ভুগছে। বাট সেটা বোঝার মত ঘিলুও ওদের নেই, আর অন্য কেউ যে বলবে, সে অপশানও তারা রাখেনি। বলতে গেলে তেড়ে আসবে, আর বানিয়ে দেবে বিএনপি। তর্ক করলে বানী নাজিল হবে, 'ল্যাঞ্জা ইজ ডিফিকাল্ট টু হাইড। সো, এই গবেটদের সাথে তর্কে যাওয়ার দরকার নাই। বরং, লেটস এঞ্জয় দ্যা শো।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়