সমীরণ রায়: [২] করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সারাদেশে লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে ঘিরে আন্ত:জেলা বাস চলাচল বন্ধ রেখে গত ৬ মে গণপরিবহন খুলে দেয় সরকার। এরই প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। ফলে গতকাল ছিলো মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটে যাত্রীদের চাপ। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে ঘরমুখো মানুষ পড়ছেন বিপাকে। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ আরও বেশি দেখা গেছে।
[৩] বিআইডব্লিউটিএ সকাল থেকে ঘাট এলাকায় মাইকিং করলেও যাত্রীরা ঘাট থেকে সরছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
[৪] বরিশালগামী যাত্রী রেহানা বলেন, সকালে বরিশাল যাওয়ার জন্য শিমুলিয়া ঘাটে আসি। ঘাটে এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ। সকালে একটি ফেরি ঘাটে ভিড়লেও ওই ফেরিতে অনেক মানুষ গাদাগাদি করে ওঠে। কিন্তু ঘাটের লোকজন জানায়, কোনো ফেরি চলবে না। এতে মানুষ নিরাশ হয়ে ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করছে।
[৫] মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের টিআই হিলাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার রাত ৩টা থেকে শিমুলিয়া ঘাটে সব প্রকার ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে। ফেরি কুঞ্চলতা সকাল ৮টা ১০ মিনিটের সময় মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স, দুটি পুলিশের পিক্যাপ ভ্যান ও ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে ভিড়লে ওই ফেরিতে যাত্রীরা ওঠে। পরে ফেরিটি ঘাট এলাকায় ভিড়ে রয়েছে। এটি আর ছেড়ে যায়নি। যাত্রীদের নেমে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
[৬] তিনি আরও বলেন, শিমুলিয়া ঘাটে এখনও ৪ শতাধিক ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান এবং ৭টি অ্যাম্বুলেন্স পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। একই সঙ্গে হাজার হাজার যাত্রী ঘাটে পার হওয়ার জন্য জড়ো হয়েছে। আমরা বলার পরও তারা সরছেন না।