অনন্যা আফরিন: [২] বাড়ির পাশেই নির্মাণাধীন একটি আবাসিক প্রকল্প। রাতের বেলা প্রায়ই সেখান থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসে। কয়েকদিন চেষ্টা করেও সেই কান্নার উৎস খুঁজে পাননি এক ব্যক্তি।রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের ওই বাসিন্দা বিষয়টি পুলিশের ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানান।
[৩] এরপর পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি পরিবার নিয়ে নির্মাণাধীন ভবনে থাকেন। প্রায় রাতেই তিনি সন্তানদের হাত-পা বেঁধে পেটাতেন। সেই কান্নার শব্দই শুনতে পেত আশপাশের লোকজন। পরে তাকে আটক করা হয়েছে।
[৪] পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা শুক্রবার জানান, ওই ব্যক্তির বার্তা পেয়ে পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখা মিরপুর থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমানকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়। পরে ওসির তত্ত্বাবধানে মিরপুর থানার এসআই নাজমুল হক ও আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে সাদা পোশাকের একটি দল ওই এলাকায় যায়। তারা পরপর দুই রাত সম্ভাব্য কয়েকটি ভবনে খোঁজ নেওয়ার একপর্যায়ে রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হয়।
[৫] পুলিশ জানায়, একটি হাউজিং কমপ্লেক্সের ভেতরে নির্মাণাধীন ভবনে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন মো. জাহাঙ্গীর। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন থানায়। মিরপুরের যে ভবনে তিনি থাকতেন সেখানে প্রায় প্রতিদিনই তিনি সন্তানদের মারধর করতেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের অভিযোগের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরকে আটক করে। এ ব্যাপারে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারটির পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও পুলিশ জানায়।নিউজ২৪, ইত্তেফাক