শিরোনাম
◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫ ◈ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে: প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০২১, ০৯:৩১ রাত
আপডেট : ০৬ মে, ২০২১, ০৯:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

"বন্ধ হতে পারে বেসরকারি কলেজের অনার্স, মাস্টার্স"

কামরুল হাসান মামুন: উপরের শিরোনামে একটি সংবাদ পড়ে কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি। এটি একটি ভালো কাজের দিকে অতি ক্ষুদ্র একটা পদক্ষেপ। এই সংবাদটি হতে পারতো খুবই ভালো একটি সংবাদ যদি বলা হতো বড় জেলা শহরের বড় বড় কয়েকটি কলেজ যেমন আনন্দমোহন, মুরারিচাঁদ কলেজ, বিএম কলেজ, বিএল কলেজ, কারমাইকেল কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের ৭টি ইত্যাদিসহ এইরকম কয়েকটি কলেজ ব্যতীত বাকি সব কলেজে যদি অনার্স মাস্টার্স বন্ধ করা হতো। এই কলেজগুলোকে দুই তিন ভাগ করে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে দুই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় করে তাদের অধীনে নিলে ভালো হতো। এতে এক দিকে যেমন ঢাকার ৭টি কলেজ মুক্ত হতে পারতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও হতে পারতো ৭ কলেজের ভার থেকে মুক্ত হতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আসলে এই ৭ কলেজের ভার বহন করতে পারছে না।

তা না করে সরকার মনে হয় সরকারি বেসরকারি বলে জাত অজাতে বিভক্ত করছেন ঠিক যেমন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বলা। এইসব সরকারি-বেসরকারি ট্যাগ লাগানো খুবই গর্হিত কাজ। এর ফলে কারো মঙ্গল হয় না বরং জাত অজাতে বিভক্ত হওয়ার কারণে সমাজে বিভাজন বাড়ে। বড় বড় প্রাচীন কলেজগুলো ব্যতীত সকল কলেজ অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রী প্রদান অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। কল্পনা করা যায় যে কেবল বেসরকারি কলেজগুলোতে অনার্স এবং মাষ্টার্স পর্যায়ে তিন লাখের মতো শিক্ষার্থী আছে৷ কারা পড়াচ্ছে? অনার্স পড়াবার মত যোগ্য শিক্ষকই যেখানে নাই সেখানে মাস্টার্স লেভেলে পড়ানো হচ্ছে। সরকারি কলেজগুলোতে জানি কত লক্ষ শিক্ষার্থী অনার্স মাস্টার্স পড়ছে। তবে এর চেয়ে যে অনেক বেশি হবে তা নিশ্চিত। লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়েদের মধ্যে খুব কম সংখক শিক্ষার্থীই যথার্থ পড়াশুনা করে ডিগ্রী পাচ্ছে। অধিকাংশের ডিগ্রীই মানহীন। কারণ মানসম্পন্ন হওয়ার বা করার জন্য যা থাকার দরকার তার ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা ও শিক্ষক নাই।

গুটি কয়েক বড় বড় কলেজে অনার্স মাস্টার্স রেখে বাকিগুলো বন্ধ করা উচিত। আর এই গুটিকয়েক বড় বড় কলেজে পিএইচডি ডিগ্রীধারীদের নিয়োগের জন্য নিয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তন করা উচিত। বলা উচিত ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি এবং ভালো মানের প্রকাশনা থাকলে এইসব কলেজে সরাসরি সহকারী অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ পাবে। এরমধ্যে কারো চার বছরের পোস্ট-ডক্টরাল অভিজ্ঞতা থাকলে সরাসরি সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগের ব্যবস্থা করলে আমার ধারণা কলেজেও মানসম্পন্ন অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রী দেওয়া সম্ভব।

যেইসব কলেজে অনার্স মাস্টার্স বন্ধ করা হবে সেইসব কলেজে দুই বছরের বিএ/বিএসসি পাস ডিগ্রী ব্যাপকভাবে চালু করা যেতে পারে। এই বিএ/বিএসসি পরীক্ষায় যারা ভালো করবে তাদেরকে বড় বড় কলেজগুলোতে দুই বছরের প্রিলিমিনারি ডিগ্ৰী পড়া সাপেক্ষে অনার্স ডিগ্রী দেওয়া যেতে পারে। আমার মোতে মাস্টার্সকে আরো সীমিত করা উচিত। সকলের মাস্টার্স করার কোন প্রয়োজন নেই। মাস্টার্স কেবল তারাই করবে বা করতে দেওয়া উচিত যারা একাডেমিয়াতে অর্থাৎ শিক্ষকতা বা গবেষণায় কাজ করবে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়