শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ব্যবসায়ীক দৃষ্টিকোন থেকে করোনা টিকা আমদানী করায় বিকল্প উৎস রাখা হয়নি, তাই বাংলাদেশে টিকা ব্যবস্থাপনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে একটি কোম্পানী কোটি কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে কিন্তু নিশ্চয়তা মেলেনি টিকা পাওয়ায়।
[৩] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বিবৃতিতে বলেন, সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী একটি বেসরকারী কোম্পানীর মাধ্যমে করোনা টিকা আমদানি করে সরকার। এতে টিকা প্রতি ঐ কোম্পানিটি ৭৭টাকা মুনাফা করেছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, শেয়ার বাজারের ওয়েব সাইটে দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৫০ লাখ ডোজ টিকা আমদানি করে তারা লাভ করেছে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। একই কোম্পানি এপ্রিলে আরো ২০ লক্ষ ডোজ টিকা আমদানি করেছে বিদ্যমান সেই চুক্তির আওতায়। অর্থাৎ সেখানে লাভ করেছে প্রায় ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
[৫] বিরোধী দলীয় এই উপনেতা বলেন, দেশের কোটি কোটি টাকা হরিলুট হচ্ছে করোনা টিকা আমদানীতে এরকমই প্রতীয়মান হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে সে উৎস থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় ও কোন বিকল্প উৎসের ব্যবস্থা না রাখায় এখন টিকা প্রাপ্তি চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে। মহামারীর ভয়াবহতা যখন বাংলাদেশের দোড় গোড়ায় কড়া নাড়ছে তখন আমরা টিকার অভাবে টিকা দান কর্মসূচী স্থগিত রাখতে বাধ্য হচ্ছি।
[৬] বিবৃতিতে তিনি বলেন, করোনাকালে টিকা নিয়ে বাণিজ্য গ্রহণযোগ্য নয়। আবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অদুরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে টিকার মজুদ প্রায় শেষের পথে। এমন পরিস্থিতিতে টিকা দান কর্মসূচী স্থগিত রাখায় মহাসঙ্কটে সারা দেশ। দেশের মানুষ গভীর উৎকন্ঠায়। এ বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা কি তা জানতে দেশবাসী আগ্রহী।
আপনার মতামত লিখুন :