বিল্লাল হোসেন:[২] গাজীপুরের কালীগঞ্জে আজিজুর রহমান খান (৩৫) মামালার এজাহার নামিও আসামী মো. কাউছার পাঠানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার (০৫ মে) দিবাগত রাতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] এছাড়াও একই দিনের রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (০৬ মে) সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
[৪] বৃহস্পতিবার (০৬ মে) বেলা পৌণে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক।নিহত আজিজুর রহমান খান কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামের মৃত আবুল হাশেম খানের ছেলে।
[৫] গ্রেপ্তারকৃত হত্যা মামলার আসামি কাউছার কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপড়া গ্রামের করিম পাঠানের ছেলে। অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃত ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিরা হলেন উপজেলার মোক্তাপুর ইউনিয়নের ডেমরা গ্রামের মৃত সুলতান উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২), একই উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিবাগ গ্রামের মতিউর মিয়ার ছেলে হাদিস মিয়া (৩০) ও কালীগঞ্জ পৌর এলাকার চৌড়া (নয়াবাড়ী) গ্রামের মৃত হাশেম আহমেদের ছেলে কাজী নওশের আহমেদ (৪৩)।
[৬] আজিজুর রহমান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার রয়েন গ্রামে প্রতিবেশীর এক ছাগল আজিজুর রহমানের চাষ করা ফসলি (সবজি) খেতে প্রবেশ এবং কিছু সবজি খেয়ে ফেলে। এরপর সেই ছাগলটিকে আজিজুর দা দিয়ে ধাওয়া করলে ছাগলটি গুরুতর আহত হয়।
[৭] পরে ছাগলটি ওইদিন রাতেই জবাই করে বন্ধুদের নিয়ে খেয়ে ফেলে আজিজুর। এরপর বুধবার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে আজিজুর তার বাড়ি থেকে বের হলে ওই ঘটনার জেরে গ্রেপ্তারকৃত কাউছারসহ অন্যরা আজিজুরকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
[৮] পরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিকেল তিনটার দিকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার (২৪) বাদী হয়ে ৬ জনের নামে ও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ১০) দায়ের করেন।
[৯] মামলা দায়েরর পর থেকে সকল আসামী পলাতক ছিল। বেশ কিছু জায়গায় অভিযান করেও তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না। বুধবার (০৫ মে) দিবাগত রাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের সহায়তায় হত্যা মামলার এজাহার নামিও আসামি কাউছার পাঠানকে কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সকালে তাকে আদাললতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয় বাকী কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন