বাশার নূরু: [২] স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাজ শুরু করেছে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে কাজ করছে এ কমিটি।
[৩] স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং মনিটরিং করতে গত ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসকে প্রধান করে ২২ সদস্যের এ কমিটি গঠন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[৪] বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে এ কমিটির প্রথম সভা (ভার্চুয়াল) অনুষ্ঠিত হয়।
[৫] স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ বেশ কিছু সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি ক্ষেত্রে বিভিন্ন পণ্যের ডিউটি ফ্রি এবং কোটা ফ্রি প্রবেশাধিকার এবং সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে বিদেশী ঋণ পাওয়ার বিষয়টি সংকুচিত হবে।
[৬] এই বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সভায় স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হতে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতি, আর্ত-সামাজিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্র, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প এবং ওষুধ শিল্পে সম্ভাব্য বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব এবং উত্তরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
[৭] সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন।
[৮] সভায় এলডিসি হতে উত্তরণের ফলে বিভিন্ন সেক্টরে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্চগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।
[৯] বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই সাব-কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে সেক্টর ভিত্তিক চ্যালেঞ্চ চিহ্নিত করতে এবং কর্মপরিধি নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
[১০] এলডিসি হতে উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা হারাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণের পর ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি অ্যাকসেস এবং দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক পক্ষ থেকে থেকে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার বিষয় সংকুচিত হবে।
[১১] এলডিসি হতে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন সেক্টরের এক্সপার্টদের নিয়ে বড় পরিসরে একটি সেমিনার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বৈঠকে।
[১২] কমিটির সদস্য হিসেবে এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (জিইডি), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, ইআরডি সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি সচিব, পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট, বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট, ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) এর প্রেসিডেন্ট।