মোহাম্মদ হোসেন:[২] চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন বন বিভাগ কর্তৃক অবৈধ করাত কলেরবিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও বনের ভেতরে অবৈধ করাতকল গড়ে ওঠা এবং এসব কলে বিভিন্ন গাছ চেরানোর অভিযোগ রয়েছে।
[৩] বন বিভাগের ১টি রেঞ্জের ৩টি বিটে গড়ে উঠেছে অবৈধ অর্ধশতাধিক করাতকল।সংরক্ষিত শাল-গজারি ও সামাজিক বনায়নের ভেতর, বন ঘেঁষে, এমনকি বন কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের ১ কিলোমিটার এর ভিতরে ও স্থাপন করা হয়েছে এই করাতকল। এসব করাতকলে দিন-রাত চেরানো হচ্ছে শাল, গজারিসহ বিভিন্ন গাছ। ফলে দিন দিন উজাড় হচ্ছে বন, ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি ও পরিবেশ।
[৪] করাতকল বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী, সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত বা অন্য যেকোনো ধরনের সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। এই উপজেলায় যেন এই আইন কার্যকর নেই! তবে বর্তমান বন বিভাগের হাটহাজারী রেঞ্চ কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব মোঃ ফজলুল কাদের চৌধুরী যোগদানের পর বিভিন্ন সময় অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন।
[৫] গত মাসে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে বনবিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার পশ্চিম ধলই, মুহুরী ঘাট ও কাটিরহাট এলাকায় ২টি করাতকল উচ্ছেদ করেন।পরিবেশ আইন অমান্য করে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা এ সব করাত কল বন্ধ বন বিভাগ কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
[৬] গত মাসের ৫এপ্রিল থেকে অভিযান শুরু হয়। অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে স্হাপিত ২টি করাত কল উচ্ছেদ করতে গিয়ে নানা চাপের মুখে পড়ে এই কর্মকর্তা। এদিকে কাটিরহাটের পশ্চিমে অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে এবং নাজিরহাট মহাসড়ক সংলগ্ন বালুরটাল নামক স্হানে অবৈধ ভাবে পরিবেশ আইন লংঘন করে আরো দুইটি করাত কল স্হাপনের অভিযোগ উঠেছে।
[৭] বন বিভাগের হাটহাজারী রেঞ্চ কর্মকর্তা ( (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, হাটহাজারীর ১ নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের সুহুরীপাড়ার পূর্ব পাশ্বে নাজিরহাট মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় পরিবেশ আইন লংঘন করে অবৈধভাবে স্হাপিত একটি করাত কল অভিযান পরিচালনা করা হয়।
[৮] এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাটহাজারী রেঞ্চ কর্মকর্তা ( (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এ প্রতিবেদককে বলেন,অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে অচিরেই পর্যাক্রমে বাকি গুলোও উচ্ছেদকরা হবে।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন