স্বপন দেব: [২] সরকার ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের মাঝে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে। দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় কৃষি খাতের উন্নয়নে সরকার কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এ কথা বলেছেন, শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস শহিদ এমপি।
[৩] তিনি বলেন, এসব আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ফলে একদিকে খরচ কমেছে অন্যদিকে ধানের ফলন তিনগুন বেড়েছে। কষ্টে ফলানো ধানের সঠিক মূল্য দিতে সরকার ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৮০ টাকায় সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সামনে রেখে খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাবে।
[৪] সোমবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোন ইউনিয়নে সমলয় পদ্ধতিতে (ব্লক প্রদর্শনী) মাধ্যমে ফলানো ধান কাটার উদ্বোধন করতে গিযে এসব কথা বলেন আব্দুস শহিদ এমপি।
[৫] এসময় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফল বারী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (অপারেশন) নয়ন কারকুন জেলা প্রশিক্ষন কর্মকর্তা (ডিএই) সামছুদ্দিন আহমদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, আশিদ্রোন ইউপি চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন জহর উপস্থিত ছিলেন।
[৬] ইউনিয়নের ৪৮ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে গত ১৭ জানুয়ারী চারা রোপন করার ৪ মাস পূর্বেই ধান কাটার উদ্বোধন করা হয়।
[৭] এসময় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক মোবাইল ফোনে আব্দুস শহিদ এমপিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘একসময় দেশ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়তো। অব্যাহত মানুষ বাড়ায় দেশে প্রায় সময় খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এসব কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। দেশের বিজ্ঞানীরা এমন জাতের ধান বীজ আবিষ্কার করেছে- যা থেকে কৃষকরা বিঘা প্রতি ২৭ মন ধান পাচ্ছে। এটা সত্যিই গর্ব করার মতো ঘটনা’।
[৮] স্থানীয় কৃষকরা বলেছেন, কম্বাইন্ড হারর্ভেস্টার যন্ত্রের সহায়তায় ধান বীজ রোপন থেকে শুরু করে কাটা-মাড়াই এর ফলে ধান উৎপাদন বেশী হচ্ছে। এতে শ্রম ও খরচ কম হচ্ছে। প্রতি বিঘায় ২৭ মন ধান উৎপাদন হচ্ছে যা আগে ৫ থেকে ৬ মন পাওয়া যেত। সম্পাদনা: হ্যাপি