সমীরণ রায়: [২] মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাণ্ডব সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন আছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, কোনো অবস্থায় যেন নির্দোষ ব্যক্তি গ্রেপ্তার কিংবা হয়রানির শিকার না হন। কিছু সরলমনা আলেম না বুঝে ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন। এই সময়ে তারা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।
[৩] তিনি বলেন, আল্লাহর দয়ায় সরকারের সঠিক ও সমপোযোগী পদক্ষেপের কারণে এবং দেশবাসীর সমর্থনে দেশ এক গভীর ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক উগ্রবাদীর অনুসারী, ক্ষমতা লোভী একদল আলেম নামধারী কুচক্রীদের হাতে চলে যায়। সে লোকগুলোর সঙ্গে জামাত-শিবির ও তাদের মিত্রদের গোপন শলা-পরামর্শের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে কুক্ষিগত করে। তাদেরকে সামনে রেখে হেফাজতের ব্যানারে জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাট, হত্যা, বিরোধীদের বাড়িঘরে আগুন, শিল্প সংস্কৃতির ভিত্তি ধ্বংসের মাধ্যমে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে সরকার পতনের লক্ষে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছিলো।
[৪] মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, আবাসিক হাফিজিয়া মাদ্রাসা এবং কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার পাশাপাশি করোনা মহামারিতে গরীব কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের অনুদানের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি। এসময় বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে খেলাফত মজলিসের সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
[৫] তিনি বলেন, আলেম নামধারী জামায়াত ও হেফাজতে একদল লোক হেলিকপ্টার নিয়ে সারা বাংলাদেশ ওয়াজ ও তাফসীর মাহফিলের নামে মিথ্যাচার করছে। পবিত্র কোরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে জিহাদের কথা বলে যুবসমাজকে উগ্রতার দিকে ধাবিত করছে।