শিরোনাম
◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার ◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র

প্রকাশিত : ০৩ মে, ২০২১, ০৪:৫০ সকাল
আপডেট : ০৩ মে, ২০২১, ০৪:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরিফ জেবতিক: যৌনকর্মীরও খদ্দের বেছে নেওয়ার কিছু সুযোগ থাকে, অধিকাংশ মিডিয়াকর্মীর সেটাও নেই!

আরিফ জেবতিক: সব মিডিয়া হাউজে পরিষ্কার মেসেজ চলে গেছে, যাদের নিউজ কোনো না কোনোভাবে ‘আনভীর’-এর বিরুদ্ধে যাবে তারা নতুন বিজ্ঞাপন তো পাবেই না, পুরনো নায্য পাওনাও আটকে দেবে। শোনা যাচ্ছে, সময় টিভির বিজ্ঞাপন ইতোমধ্যে বাতিল করেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। নগদ ৫০ কোটি টাকা বিতরণের খবরও দিলেন একজন সাংবাদিক নেতা। দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক থেকে শুরু করে সবাই হয় চুপ মারবে, নয়তো ডানে-বামে কাইত হয়ে খবর প্রকাশ করবে। যৌনকর্মীরও খদ্দের বেছে নেওয়ার কিছু সুযোগ থাকে, অধিকাংশ মিডিয়াকর্মীর সেটাও নেই!

[২] ‘বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ’- এই ধারার মামলায় আমার বরাবর আপত্তি আছে। এটি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে হয়েছে বলে আনন্দে বগল বাজাব না, একই পরিমাণ আপত্তি বজায় রাখব। প্রাপ্তবয়স্ক দুজন পরস্পরের সম্মতিতে দিনের পর দিন সবকিছু করার পরে তারপর বনিবনা না হলেই এরকম ধর্ষণ মামলার ধারা ব্যবহার করাটা নিন্দনীয় বিষয়। এক শ্রেণির বাটপার এই ধারার অপপ্রয়োগ করে অনেক মানুষকে হয়রানি করে এবং টাকাপয়সা আদায় করে। এই ধারাটা যাদেরকে বলপ্রয়োগে ধর্ষণকরা হয়, তাদের বেদনা ও কষ্টকে অপমান করা হয়।

আমি যৌক্তিক ভাবতাম, জান্নাত যদি এখানে চুক্তিভঙ্গের মামলা করতেন। তিনি প্রফেশনাল সার্ভিস দিয়েছেন, কিন্তু তার বিনিময়ে মামুনুল হক টাকাপয়সা দেননি, এরকম হলে প্রতারণা ও চুক্তিভঙ্গের মামলা করা যায়। আর ধর্ষণ মামলা করার অধিকার ছোটবেলা বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রদের আছে। হ্যাঁ, আইন অনুসারে জান্নাতও এই মামলা করতেই পারেন এবং আমার ধারণা ওই চিনি জান্নাত আপাকেও  এই মামলা করতে সাহস দেওয়া হবে, কিন্তু আদতে আইনের এই ধারাটাই থাকাটা হাস্যকর। এই লেখার মূল বক্তব্য হলো, ‘যে আইন খারাপ, সেটি শত্রু-মিত্র যার ওপরেই প্রয়োগ হোক, সেটা খারাপ আইনই থাকে।’ ঈষৎ সম্পাদিত। লেখক : অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়