শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০১ মে, ২০২১, ০৪:০৪ দুপুর
আপডেট : ০১ মে, ২০২১, ০৪:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সকল শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সমাবেশ

শাহীন খন্দকার: [২] মহান মে দিবসে সকল শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য নামের একটি সংগঠন। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মে দিবস উপলক্ষে সংগঠনটি আয়োজিত সমাবেশ থেকে এমন দাবি জানালেন।

[৩] মে দিবসের অঙ্গীকার, নিশ্চিত কর সকল শ্রমিকের জীবন, জীবিকা ও স্বাস্থ্যের অধিকার’ স্লোগানে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে নেতারা বলেন, মে দিবসে আমাদের একটাই দাবি রানা প্লাজা থেকে বাঁশখালী পর্যন্ত যত শ্রমিক হত্যা করা হয়েছে প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বাঁশাখালীতে শ্রমিকের বুকে গুলি করা, এটা মেনে নেওয়া যায় না।

[৪] সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষেরা। সেই কৃষকের বুকে গুলি করেছিল বিএনপি। আর এবার বাঁশখালীতে শ্রমিকের বুকে গুলি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এগুলো মেনে নেওয়া যায় না।

[৫] তিনি আরও বলেন, সরকার লকডাউনের ভিতরে গণবিরোধী অনেক কাজ করেছে, শ্রমিকের বুকে গুলি করেছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা শাক-সবজি থেকে শুরু করে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে ব্যাপক লুটপাট করেছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের কোনো কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা ছিল না। সরকার মধ্য আয়ের মানুষ থেকে হতদরিদ্র মানুষ পর্যন্ত সকলের সঙ্গে ত্রাণের নামে মশকরা করেছে। এগুলো গণবিরোধী কাজ।

[৬] সাম্যবাদী দলের (এম. এল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী বলেন, মে দিবসে আমাদের একটাই দাবি রানা প্লাজা থেকে বাঁশখালী পর্যন্ত যত শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে, প্রত্যেকটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। মাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বাঁশাখালীতে শ্রমিকের বুকে গুলি করা, এটা মেনে নেওয়া যায় না।

[৭] প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ খান বলেন, আজ শুধু শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার না, ভবিষ্যতে শ্রমিকদের যে সন্তান জন্মগ্রহণ করবেন তারাও বৈষম্যের শিকার। কারণ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মাতৃত্বকালীন ছুটি পান ছয় মাস আর আমার দেশের শ্রমিকরা মাতৃত্বকালীন ছুটি পান তিন মাস। শ্রমিকদের সঙ্গে এ ধরণের বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সিরাজুল আলম মাস্টার, বিধান দাসসহ গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়