আল আমীন:[২] চারদিকে নিঃশব্দ মানুষের হাহাকার এবং করোনার দুর্যোগে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত মানুষের পাশে দাড়ানোর একঝাক তরুন এদের মধ্যে আলী ইউসুফ, মুক্তিযোদ্ধা বিমল পাল, আশরাফ উদ্দিন, সাফরান আহমেদ, মাহদী হাসান আপন, অলক সরকার, মোঃ রাজন, মোঃ তৌফিদুজ্জামান ছোটন, বিনায়ক দত্ত, সাব্বির আহমেদ শাকিল, মোঃ নাজমুল ইসলাম, মোঃ সুরুজ আলী, নাজমুল হুদা আরিফ প্রমূখ।
[৩] কিন্তু করোনাকালে তিনি হয়ে উঠেছেন অনন্য টিম। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মৃতদের সৎকারের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজেদের কাঁধে। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয়দের সহায়তায় সৎকারসহ করোনা সংক্রমিত ব্যক্তিদের পাশে দাড়াচ্ছেন।
[৪] অক্সিজেন, খাদ্য সহায়তা, রক্তদান, এ্যাম্বোলেন্স সরবরাহ, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এমন ব্যক্তিদের পাশে দাড়ানোসহ নানা কাজে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে আলী ইউসুফ টিম। করোনায় মৃত ব্যক্তিদের গোসল দাফন সেই সাথে হিন্দুদের সৎকার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
[৫] করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর আলী ইউসুফের অন্যসব পরিচয় ছাপিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন করোনা আক্রান্তদের ভরসার এক নাম। করোনা আক্রান্তদের তিনি বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন দেওয়া, বাসায় থাকা রোগীকে প্রয়োজনীয় যে কোনো সেবা দেওয়া, কেউ হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইলে তাকে হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা, আক্রান্ত ব্যক্তির সামর্থ্য না থাকলে ফ্রি সেবা দেওয়া এবং করোনায় মৃতদের সৎকারের ব্যবস্থা করা।
[৬] তবে মাত্র ছয়টি অক্সিজেন সিলিন্ডার তাদের কাছে মজুদ রয়েছে। এ কারণে অক্সিজেন সেবা সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হচ্ছে। আলী ইউসুফ এ পর্যন্ত করোনায় মৃত ২৫ জনের সৎকার করেছেন।
[৭] অবশ্য এতে তাকে অন্যরাও সহযোগিতা করেন। মৃতদেহ সৎকারে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন নিরাপত্তাসামগ্রীসহ অন্যান্য উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করে। সৎকার কাজে সিটি করপোরেশনের তিনটি টিমের মধ্যে দুটি টিমের নেতৃত্ব দেন তিনি।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন