 
    
রবিউল আলম: বিজেপির উথানের মহানায়ক বলা হয় অটল বিহারী বাজপেয়ী। মানবতার নায়কও বলা হয় তাকে। এল কে আদভানির উগ্রবাদী রাজনীতির জন্য অনেক মাসুলও দিতে হয়েছে। দলে, সরকারে উগ্রবাদীরা কখনো একছত্র অধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি। আজকের বিজেপিতে বাবরী মসজিদ ধ্বংসকারীদের কোনো স্থানও নেই। সেই ছোট থেকেই দেখছি, স্বাধীনচেতা বাঙালিকে হুমকি ধামকি, অসম্মান করে অধিকার হরণ করতে পারেনি। ব্রিটিশ, পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন অনেক ইতিহাস বহন করে। সুদীর্ঘকাল পরে নরেন্দ্র মোদির কারিশমায়, শেখ হাসিনার সান্নিধ্যে বাঙালির হাওয়া কিছুটা হলেও বিজেপিকে চমকিত করেছিল।
আসাম, ত্রিপুরার জনগণ বিশ্বাস করেছিলো। নাগরিকত্ব বিল, বাঙালিকে মিসকিন, বাংলাদেশের প্রতি তিরষ্কার করার ফল হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বিজেপি হারতে চলেছে। অমিত শাহ বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে অবগত নন। ধর্মের বিচারে বাঙালিকে কখনো বাধা যায়নি, বাঙালি মানবতাবাদী। হিন্দু মুসলিমের বিভেদ বাংলার স্বাধীনতা আটকাতে পারেনি। পশ্চিমবঙ্গের পরাজয় বিজেপিকে আসাম, ত্রিপুরা ছাড়তে হতে পারে। বাংলাদেশের মৌলবাদীরা এখনো ৫ শতাংশ ভোটের ওপর নির্ভর, এখান থেকেও অমিত শাহ কিছুটা শিক্ষাগ্রহন করতে পারতেন। লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
