রোজিনা ইসলাম: উন্নত দেশগুলোর ভ্যাকসিনেশন রেগুলেটরি কমিটি সবার আগে তার দেশের নাগরিকের সেফটি ইস্যুর গুরুত্ব দেয়। আপাতদৃষ্টিতে ছোট মনে হলেও, ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে সেফটি ইস্যু অনেক বড় একটা বিষয়। কারণ যে কেউ অনিরাপদ ভ্যাকসিনে মারা যেতে পারে বা অন্যান্য ঝামেলা হতে পারে। তা সে যতোই কম সংখ্যক হোক। যে মারা যায়, সে তো যায়। উন্নত দেশগুলো তাই খুঁজে খুঁজে কোন ভ্যাকসিনটা মানুষের জন্য নিরাপদ, সেটা বের করার চেষ্টা করে আগে। তারপর দেখার চেষ্টা করে সেই ভ্যাকসিনটা কতোটুকু কার্যকর। এই ক্রাইটেরিয়া বিবেচনায় তারা যখন কিছু ভ্যাকসিনকে সিলেক্ট করতে পারে, তখন তারা বিবেচনা করে কোনটা তারা দেশে আনতে পারবে, কোনটা পারবে না। কিন্তু কখনো সেফটি ইস্যুতে কম্প্রোমাইজ তারা করতে চায় না।
যেমন যুক্তরাষ্ট্র এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিন চালু করতে দেয়নি। জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিনও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ডেনমার্ক অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পারমানেন্টলি বাতিল করে দিয়েছে। যুক্তরাজ্য নিজেই ৩০ বছরের কম বয়সী নাগরিকদের ক্ষেত্রে এস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিনের পরিবর্তে অন্য ভ্যাকসিন সাজেস্ট করেছে। আমার দেশ কি সেফটি ইস্যুতে সচেতন? কোনো টিকা আমদানি করার আগে আমরা কি নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছি, কোন টিকা ঠিক কতোটুকু নিরাপদ? নির্ভরযোগ্য স্টাডি কি আমাদের হাতে আছে বা বিবেচনায়? উন্নত দেশগুলো কী করছে, কোন কোন ভ্যাকসিনগুলো অনুমোদন দিচ্ছে, আমরা কি সেসব দেখেশুনে আমাদের সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি? ডব্লিউএইচও কাকে কাকে অনুমোদন দিলো আর কাকে দিলো না, এসবের ব্যাপারে কি আমরা সজাগ আছি? ইউরোপয়িান ইউনিয়নের দেশগুলো কাকে কাকে অনুমোদন দিচ্ছে বা দিচ্ছে না, তা কি আমরা জানি? ফেসবুক থেকে