ফজলুল বারী: বাংলাদেশের আমজনতার কাছে বিদেশে চিকিৎসা মানে প্রথম পছন্দ ভারত। প্রতিবেশী দেশটির অনেক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাও বাংলাদেশের রোগীদের টার্গেট করে গড়া। সেই ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন লন্ডভন্ড। করোনা মহামারীতে দেশটির অনেক হাসপাতালে এখন এক শয্যায় দুই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে! অক্সিজেনের অভাবে রোগীরা মারা যাচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায়। দৈনিক সংক্রমণ প্রায় সাড়ে ৩ লাখের ঘর ছাড়িয়েছে। দৈনিক মারা যাচ্ছেন ৩ হাজারের বেশি করোনা রোগী।
এর মধ্যে দেশটিতে আইপিএলের মতো ক্রিকেটযজ্ঞ, নির্বাচন চলছে রাজ্যসভার। বিভিন্ন দেশ ভারতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশও সীমান্ত বন্ধ করেছে ভারতের সাথে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে ভারত। আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাড়িয়ে দিয়েছে সাহায্যের হাত।
প্রতিবেশী বাংলাদেশ অনেক কম সামর্থ্যে তুলনামূলক ভালো আছে বলা চলে। এটা প্রমাণ করে বাংলাদেশের চিকিৎসা সামর্থ্য একেবারেই ফেলনা নয়। স্বাস্থ্যখাতের মাফিয়াদের দুর্নীতি, মানুষকে স্বাস্থ্যসচেতন করা গেলে আরও ভালো থাকতো বাংলাদেশের পরিস্থিতি। এই জরুরি সময়ে কী হতো বা কী হতে পারতো এসব বলেতো হা-হুতাশ করা বা ছড়িয়েতো লাভ নেই। ভারতের মতো বড় সামর্থ্য-শক্তির চেয়ে ভালো আছে দেশ, এটাই শুকরিয়া। মানুষকে সাহস দিতে হবে প্রিয় প্রজন্ম। যার যার হাতের কাছের মানুষটিকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে ভূমিকা রাখতে হবে। একজন, একজনকে সুরক্ষা সচেতন করতে পারলেই এর যোগফল হয়ে যাবে বৈপ্লবিক। যার কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে প্রিয় প্রজন্ম। আমরা চেষ্টা করছি। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা বহাল রাখি। ফেসবুক থেকে