শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:০৭ রাত
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মামুনুল হকের মাহফিল নিয়ে চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে বক্তব্য,ক্ষমা চাইতে আল্টিমেটাম

এএইচ রাফি: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় হেফাজতের যুগ্ন মহাসচিব মামুনুল হকের মাহফিল নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

[৩] বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কসবা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন। সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।

[৪] এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন বলেন, সময়টিভির একটি সংবাদে হেফাজতে ইসলামের তান্ডবে জেলার ৫জন এমপি-মন্ত্রী কেউ মাঠে ছিলেন না। ওই সংবাদের এক পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী বলেছেন, 'ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের আগে মাননীয় আইনমন্ত্রীর এলাকায় মামুনুল হক এসেছিলেন।

[৫] ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মন্ত্রীর সাবেক এপিএস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-আহবায়ক ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন'।সাংবাদিক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন।

[৬] সংবাদ সম্মেলনে রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন বলেন, আইনমন্ত্রী মহোদয় হেফাজতের তাণ্ডবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণে সবধরণের ব্যবস্থা নিয়েছেন। সারাক্ষণ তিনি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। কসবায়ও হেফাজতের ঘাটি আছে, আমরা দলীয় নেতাকর্মীরা মিলে হেফাজতকে ঠেকিয়েছি। তাদেরকে আমরা তাণ্ডব করতে দেইনি।

তিনি বলেন, কসবার বাদৈরে একটি ইমলামিক সংস্থা মামুনুল হকের মাহফিল আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজকরা আমাকে প্রধান অতিথি করতে চেয়েছিলেন। আমার সম্মতি না নিয়েই আমাকে প্রধান অতিথি করে পোস্টারও ছাপায় আয়োজকরা। কিন্তু আমি বলেছি মামুনুল হকের মাহফিল হবেনা। পরে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে সেই মাহফিল বন্ধ করে দেই। মাহফিলের স্টেজটিও আমরা ভেঙে ফেলি।
তিনি আরও বলেন, ওনি (বাপ্পী) যে বক্তব্য দিয়েছেন- তাতে আমার মানহানি হয়েছে। সারা বাংলাদেশে আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিনি যদি নিঃশর্ত ক্ষমা না চান, তাহলে আমি তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আমার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক নেই, শত্রুতাও নেই। কেনো আমাকে জড়িয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন- সেটি বুঝতে পারছিনা।

সংবাদ সম্মেলনে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু জাহের, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. ইব্রাহিম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. পলাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়