সাদেক আলী: তরমুজ পিস হিসেবে কিনে কেজিতে বিক্রি নিয়ে যখন সারাদেশে তোলপাড়, তখন খবর এল শেরপুরে কাঁঠালও বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। বিক্রেতাদের কথায়, ক্রেতার চাহিদা থাকায় তারা কেজিতে বিক্রি করছেন। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জেলা শহরের খরমপুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। সময় টেলিভিশন
দেখা যায়, বড় কাঁঠালগুলো প্রতি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ১৫০ টাকা। আর ছোট ছোট প্রতি পিস কাঁঠাল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, এই সময়ে কাঁঠাল পাওয়া যায় না। তাই মানুষ বেশি দামেই কিনছে।
কাঁঠাল বিক্রেতা আনার আলী ৫০টি কাঁঠাল এনেছিলেন। এর মধ্যে ৪৩টি কাঁঠাল কেজি দরে বিক্রি করেছেন। এখন আর মাত্র ৭টি কাঁঠাল আছে। তার ভাষায়, ‘পাবলিক না কিনে কই যাব, এই সময়ে কাঁঠাল পাব কই?’
কাঠালের কেজি দরে বিক্রি দেখে অনেকেই অবাক হয়ে যান। স্থানীয় এক বয়োবৃদ্ধ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৭০ বছরের জিন্দেগিতে কখনো কাঁঠাল কেজি দরে বিক্রি করতে দেখি নাই। এত দামে কিনে খাওয়ার তো ক্ষমতা নাই।’
বিষয়টি ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের নজরে আনা হলে শেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শেরপুর-জামালপুর জেলার দায়িত্বে আছি। সপ্তাহে দুই দিন শেরপুরে অফিস করি। বুধবারই শেরপুর শহরে অভিযান চালানো হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :