হারুন-অর-রশীদ: [২] জেলার ভাঙ্গার গজারিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর ইটালী প্রবাসী মাসুদ হত্যা মামলার আসামীরা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। নিহতের ১৩ দিন পেরিয়ে গেলেও আসামীরা আটক না হওয়ায় পরিবারের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
[৩] নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ২ সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত প্রধান হত্যাকারী বাচ্চুমিয়া ও তার দুই পুত্র রিজু, মিজু, জামাতা জুয়েল, পিন্স, সহিদ, কিবরিয়া, নান্নু, তুরফান, সবুজ, খাজা, নয়ন খাঁ, বাবুসহ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে পুলিশ বলছে, আসামিদের আটক করতে জোর তৎপর চলছে।
[৪] মামলা ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাড়ির পাঁশে নওপাড়া বাসষ্টান্ডে নান্নুর দোকানে চা খেতে যায় ইটালী প্রবাসী মাসুদ রানা। ঐ দিন দুপুরে পিন্স বেপোরোয়া গতিতে মটর সাইকেল চালানোর নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়। পরে এঘটনাকে কেন্দ্রে করে পিন্স স্থানীয় মাতুব্বর বাচ্চু মিয়ার কাছে নালিশ করে। ঐ আক্রোশের সুত্র ধরে প্রধান আসামী এমদাদুল হক বাচ্চুমিয়া নেতৃত্বে তার ২ পুত্র, পিন্স ও তার জামাতাসহ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে মাসুদ রানাকে চায়ের দোকানে কুঁপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে । পরদিন বুধবার ময়না তদন্তের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
[৫] এ ঘটনায় নিহতের মা হালিমা বেগম বাদি হয়ে ৩৫ জন নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
[৬] ঘটনার পর স্থানীয় সংসদ নিক্সন চৌধরী ও ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: আলীমুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনাসহ আসামসীদের আটক করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন।
[৭] মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার এসআই আজাদ হোসেন জানান, আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আসামিরা বারবার স্থান পরিবর্তন করছে। আশা করছি আসামীদের দ্রুত আটক করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, এঘটনায় এই পর্যন্ত ৩ জন আসামিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন