স্বপন দেব : [২] দীর্ঘদিন লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে সেবা যত্ন করে বড় করার পর একটি চিতা বিড়ালকে শুক্রবার(২৩ এপ্রিল) বিকেলে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে।
[৩] এই বছরের ৬ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ থেকে একটি চিতা বিড়ালের বাচ্চা উদ্ধার করে মৌলভীবাজারে নিয়ে আসে বনবিভাগ।
[৪] অবমুক্ত করা সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদি সারোয়ার, লাউয়াছড়ার রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, লাউয়াছড়া জীব বৈচিত্র্য রক্ষা আন্দোলনেরর যুগ্ম-আহ্ববায়ক শামছুল হক।
[৫] বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, সুনামগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় সেটি বাচ্চা ছিল। আমরা রেসকিউ সেন্টারে রেখে প্রয়োজনীয় সেবা দিয়ে বড় করেছি।
[৬] সে নিজে নিজে বেঁচে থাকার জন্য উপযোগী হয়ে গেছে তাই বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। রেসকিউ সেন্টারে নিয়মিত কোয়েল পাখি, মাছসহ বিভিন্ন খাবার দেয়া হত।
[৭] বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পাওয়া যায় মৌলভীবাজার থেকে ১৫৪ কি.মি. দূরে সুনামগঞ্জের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে এক ব্যক্তি একটি চিতা বিড়ালের বাচ্চাকে খাঁচায় বন্দিকরে রেখেছেন ৬/৭ দিন ধরে। কিন্তু বন্দী রাখলেও তাকে ঠিকমত খাবার না দেয়ায় সে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
[৮] বিষয়টি জেনে বনবিভাগের সহযোগীতায় বনবিভাগের গাড়ি এবং কর্মকর্তারা স্থানীয় প্রাণী প্রেমি সোহেল শ্যাম তার দীর্ঘদিনের প্রাণিসেবার সঙ্গী ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজ্সহ মৌলভীবাজার নিয়ে আসেন। সেই থেকে লাউয়াছড়ায় রেসকিউ সেন্টারে ছিল চিতা বিড়ালের বাচ্চাটি। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :