রিয়াজুর রহমান : বুধবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিমুল আহমেদ (২৩) শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া জানান, বাঁশখালিতে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত শিমুল আহমেদ নামে একজন মারা গেছেন। তিনি পেটে গুলিবিদ্ধ ছিলেন।
যেদিন হাসপাতালে আনা হয়েছিল সে দিন প্রথমে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়। একই দিন অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। আজ (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়েছে। তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ ৬ জনের মৃত্যু হল বলে জানা গেছে।
নিহত শিমুল সিলেটের মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার জানাহুরা এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বেসরকারী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এস এস পাওয়ার প্লান্টে কর্মরত বাঙ্গালী শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিয়ে বিক্ষোভ চলছিল। গত (১৬ এপ্রিল) শুক্রবার থেকে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে পরদিন শনিবার সকালে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রমিক নেতারা। বৈঠক চলার সময় দাবি-দাওয়া আদায় নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৫জন। পরে বিকেলে চমেক হাসপাতালে মারা যান আরো একজন।