ইমরুল শাহেদ: হি-ম্যান হিরো ওয়াসিমের মৃত্যুর পর অনেকেই স্মরণ করেছেন দি রেইন কন্যা অলিভিয়াকে। কোথায় এবং কেমন আছেন তিনি, এই প্রশ্ন সকলের মধ্যে উকি দিয়ে উঠেছে। ঢাকার চলচ্চিত্রের সবচেয়ে আধুনিক নায়িকা বলা হয় তাকে। সেই সময়ে গø্যামারাস চরিত্র হলেই তার কথা ভাবা হতো। তিনি চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৭২ সালে এসএমশফির ‘ছন্দ হারিয়ে গেল’ ছবি দিয়ে। সর্বশেষ তার ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় ‘দুশমনি’ ছবিটি। ক্যারিয়ারের ২৪ বছরে তিনি ৫৩টির মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো টাকার খেলা, মাসুদ রানা, দি রেইন, বহ্নিশিখা, তীর ভাঙ্গা ঢেউ, শাপমুক্তি, আদালত, যাদুর বাঁশী, কুয়াশা, শ্রীমতী ৪২০, বেদ্বীন, ডার্লিং, টক্কর ও লাল মেমসাহেব। এই ছবিগুলোতে তিনি এক ঘরানার চরিত্রে সীমাবদ্ধ থাকেননি। অলিভিয়া সম্পর্কে একজন নায়িকা এ রিপোর্টারকে বলেন, তার সঙ্গে একবার গুলশানের একটি শপিং মলে দেখা হয়েছিল। কিন্তু কেমন আছি জানতে চেয়ে উত্তরের অপেক্ষা না করেই চলে গেছেন। আরেকজন নায়িকা বলেছেন, তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল মালিবাগে।
সেখানেও অলিভিয়া তার সঙ্গে কথা না বলে পাশ কাটিয়ে যান। এর মানে অলিভিয়া ভালো আছেন এবং পরিচিত গণ্ডীর বাইরেই তিনি থাকতে চান। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করা অলিভিয়া মাত্র তেরো-চৌদ্দ বছর বয়স থেকে মডেলিং করা শুরু করেন। চাকরির প্রয়োজনে পূর্বাণী হোটেলের রিসেপশনিস্ট হয়েছিলেন কিছুদিন। অলিভিয়া এই হোটেলের রিসেপশনিস্ট থাকা অবস্থায় কয়েকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করেন।
জহির রায়হান তার ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ এবং বেবী ইসলাম ‘সঙ্গীতা’ নামের চলচ্চিত্রে তাকে নিতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি অজানা কারণে বাদ পড়েন। ‘মাসুদ রানা’ ছবিতে প্রথম অলিভিয়াকে দেখা যায় হাঁটুর ওপর বস্ত্র পরিধান করতে, যা দেশীয় চলচ্চিত্রে ছিল নতুন ও সাহসী ব্যাপার। এমন কি তার স্বামী এসএম শফিও তার গ্ল্যামার এবং যৌনাবেদনকে ব্যবহার করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি। অথচ তিনি সামাজিক ঘরানার ‘বহ্নিশিখা’ ছবিটিতে উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। অলিভিয়া পোশাকি, ফ্যান্টাসি এবং সামাজিক সব ধরনের ছবিতেই অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ‘দি রেইন’ ছবিতে অভিনয় করে অসম্ভব খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত অলিভিয়া-ওয়াসিম জুটি অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :