স্বপন দেব: করোনা সংক্রমণকালে অভাবের তাড়নায় কাজের সন্ধানে মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার লাঠিটিলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের ত্রিপুরার উনকোটি জেলার কৈলাশহরে প্রবেশ করেছিল ৪ বাংলাদেশী। ওই চার যুবক কৈলাশহর থেকে ধর্মনগর যাবার পথে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী তাদের আটক করে কৈলাশহর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটক ৪ জনের মধ্যে একজন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার লাঠিটিলা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের পর শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী তাদের আটক করে। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানে না বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।
ত্রিপুরা টিভি ও কৈলাশহর সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, চার বাংলাদেশী জুড়ি উপজেলার লাঠিটিলা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে ত্রিপুরার কৈলাশহরে প্রবেশ করে। সেখান থেকে তারা ধর্মনগর যাবার পথে পাইতুর বাজার এলাকায় টহলরত বিএসএফ সদস্যদের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে কৈলাশহর থানায় সোপর্দ করে। আটক সাহান আলী (২৮), রাজন মিয়া (২৫), নান্টু মিয়া (২৮) ও আহমেদ আলী (৩৩) চারজনের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলায়। কৈলাশহর থানায় জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা জানায়, কাজের সন্ধানে ভারতে প্রবেশ করেছে।
লকডাউনের সময়ে সীমান্ত অতিক্রম করে করোনা সংক্রমণকালে ভারতে প্রবেশ করায় তাদের কৈলাশহর হাসপাতালে নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করলে একজনের করোনা সনাক্ত। কৈলাশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পার্থ মুন্ডা সেখানকার গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা আটক ৪ বাংলাদেশীর তথ্য দিলে তা ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
ত্রিপুরার স্থানীয় সাংবাদিক দেবাশী দত্ত মোবাইল ফোনে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ৪ বাংলাদেশীকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, করোনাকালীন সময়ে তাদের অবৈধ প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ত্রিপুরার কৈলাশহরে ৪ বাংলাদেশী আটক সম্পর্কে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গলস্থ বিজিবি ৪৬ নং ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার ল্যা. কর্নেল মাহবুবুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এমনকি বিএসএফ থেকে এখন বিজিবিকে এ সম্পর্কে কোন তথ্য এখনও দেয়া হয়নি। তার পরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।