শিমুল মাহমুদ: [২] ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম গঠনে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে সরকারকে করোনা মোকাবিলায় হিংসা-বিদ্বেষ ত্যাগ করে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
[৩] রোববার দুপুরে ‘করোনা পরিস্থিতি ও জনজীবনের সংকট’ শীর্ষক এক নাগরিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান। অনলাইনে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এই সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া ।
[৪] ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার বক্তব্যে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, ‘শুধু আইসিইউ-এর সংখ্যা বৃদ্ধি করলে চলবে না। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যেন তারা প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা দিতে পারেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগীদের সুবিধার্থে অক্সিজেনের ওপর ভ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে।’
[৫] ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিমের মাধ্যমে করোনার প্রাথমিক চিকিৎসা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘শুধু টাকা পয়সা নয়, ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকেরও প্রয়োজন।’
[৬] বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামা শ্রমিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী নিহতদের তালিকা প্রকাশ ও অপরধীদের বিচারের দাবি করেন। এছাড়াও লকডাউনে প্রান্তিক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়ার পাশাপাশি, করোনার টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি ও চিকিৎসায় সরকারকে ভর্তুকি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া কারখানার শ্রমিকদের বেতন নিশ্চিত করা, মোদিবিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মুক্তি ও শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফের দাবিসহ কয়েকদফা দাবি পেশ করেন।
[৭] সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, বেলা’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও প্রেসিডিয়াম সদস্য নাঈম জাহাঙ্গীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম প্রমুখ।