স্পোর্টস ডেস্ক: [২] বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল খেলা ইংল্যান্ডের প্রিমিয়র লিগ। এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে এই লিগের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এক অদ্ভুত কারণে ইরানে প্রিমিয়র লিগের সরাসরি সম্প্রচার বিঘ্নিত হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।
[৩] ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম টটেনহ্যাম হটস্পার ম্যাচকে কেন্দ্র করে। প্রিমিয়র লিগের দুই বড় দল মওশুমের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়। শক্তিশালী দুই দলের ম্যাচ ঘিরে দর্শকমহলে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু ম্যাচ চলাকালীন এক দুই নয়, কমপক্ষে শতাধিকবার বিঘ্নিত হয় ম্যাচের সম্প্রসারণ। ম্যাচের মহিলা লাইন্সপার্সনের উপস্থিতির কারণেই এই ঘটনা। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দেন নেটাগরিকরা।
[৪] ইরানের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কুস্তিগির ও মাই স্টেলদি ফ্রিডিম নামক মহিলা সমাজসেবী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সর্দার পাশেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লেখেন, গত রাতে ইরান টিভি শুধুমাত্র মহিলা রেফারি থাকার দরুণ প্রায় ডজনখানেকবার ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম টটেনহ্যাম হটস্পার ম্যাচ সেন্সর করে। লিঙ্গের ভিত্তিতে ইরানের এই মেরুকরণের বিরুদ্ধে কি ফিফা (ফুটবল নিয়ামক সংস্থা) কোনও প্রতিবাদ জানাবে না ?’
[৫] মহিলা অধিকার রক্ষার্থে সক্রিয় মাই স্টেলদি ফ্রিডম আবার একধাপ এগিয়ে দাবি করে, মহিলা রেফারির উন্মুক্ত পা ম্যাচ সেন্সর হওয়ার আসল কারণ। সম্প্রচারকারী সংস্থা শর্টসে এক মহিলা রেফারির উপস্থিতিতে ঘাবড়ে যায়। সমস্যার সমাধান করতে তারা ম্যাচের সম্প্রচারণ বিঘ্নিত করে লন্ডনের রাস্তাঘাটের ছবি দেখান। ম্যাচের শেষে এক ধারাভাষ্যকার মজার ছলে জিজ্ঞেস করেন দর্শকরা ভৌগলিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছেন কিনা। এমন ধরনের মতাদর্শের বিরুদ্ধে আমাদের তীব্র প্রতিবাদ জানানো উচিত। - ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস/ হিন্দুস্তানটাইমস