আতিকুর রহমান : [২] রাষ্ট্রবিরোধী ও আইন শৃংখলা পরিপন্থী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করায় তাকে দুই দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেছে আদালত। গত মঙ্গলবার গাছা থানার পুলিশ তার বিরুদ্ধে সাত দিন রিমানেডর আবেদন করেন। আদালতের বিচারক ১৫ এপ্রিল রিমান্ডের শুনানীর দিন ধার্য করেন।
[৩] জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন নাহার বৃহস্পতিবার বিকেলে তার দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামীকাল সকালে তাকে রিমান্ডে আনার কথা রয়েছে এমনটা জানিয়েছেন গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন।
[৪] এরআগে গত ৭ এপ্রিল নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে মাদানীকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে র্যাব। এরপর থেকে তিনি গাজীপুর জেলা হাজতে রয়েছেন।
[৫] গ্রেপ্তারের পর র্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছিলো, আসমা বেগম নামের এক নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন বলে যে দাবি করেছেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। ওই নারীর সঙ্গে রফিকুলের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়নি। ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে হঠাৎ পরিচিত হয়ে ওঠা রফিকুল ইসলাম কিছুটা অস্বাভাবিক খর্বকায়, বালকসুলভ চেহারা ও কোমল কণ্ঠস্বরের অধিকারী। তার নিজের ভাষ্যমতে, ‘তার জন্ম ১৯৯৫ সালে। সে হিসেবে তার বয়স ২৬ বছর।’
[৬] রফিকুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। স্থানীয় স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হলেও পরে তিনি মাদ্রাসায় ভর্তি হন ও নূরানি, হেফজ পড়েন। এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েন।
[৭] মাদ্রাসার ছাত্র থাকার সময় বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ করতেন রফিকুল। তিনি দাওরায়ে হাদিস পড়েছেন রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায়। একই সঙ্গে তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতি। নেত্রকোনার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন রফিকুল।
[৮] বিতর্কিত বক্তা হওয়ায় রফিকুল ইসলামকে ওয়াজকারী বক্তাদের সংগঠন রাবেতাতুল ওয়ায়েজিন বাংলাদেশের সদস্য করা হয়নি। বরং সংগঠনটির পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন সময় অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য না দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :