মিনহাজুল আবেদীন: [২] শুক্রবার ডিবিসি টিভির প্রতিবেদন জানায়, প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এ তালিকায় আছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এরই মধ্যে মারা গেছেন দলটির বর্ষীয়ান নেতা মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, সিলেটের সাবেক সিটি মেয়র বদরউদ্দিন কামরান, সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
[৩] দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারা যান মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী। সর্বশেষ বুধবার এই তালিকার মধ্যে যোগ হন সাবেক মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা দলটির নীতি নির্ধারণ ফোরাম সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন খসরু।
[৪] আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানায়, দ্বিতীয় ধাক্কায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী, এমপিসহ ৩০ জন। চট্টগ্রাম-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নেত্রকোণা-৩ এর অসীম কুমার উকিল, গাজীপুর-৫ আসনের মেহের আফরোজ চুমকি, গাজীপুর-৪ আসনের সিমিন হোসেন রিমি, রাজবাড়ী-১ এর কাজী কেরামত আলী, কক্সবাজার-১ এর জাফর আলম, কক্সবাজার-২ এর আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার-৪ এর শাহীন আক্তার, কুমিল্লা-৪ আসনের রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-৩ এর মামুনুর রশিদ কিরণ, হবিগঞ্জ-১ আসনের গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, হবিগঞ্জ-২ এর আব্দুল মজিদ খান, রাজশাহী-১ এর ওমর ফারুক চৌধুরী, বরিশাল-৪ আসনের পঙ্কজ দেবনাথ, ঢাকা-২০ এর বেনজির আহমেদ, পাবনা-২ এর আহমেদ ফিরোজ কবির, সিরাজগঞ্জ-৪ এর তানভীর ইমাম, টাঙ্গাইল-২ আসনের তানভীর হাসান ছোট মনির, ঢাকা-৭ এর হাজি মোহাম্মদ সেলিম এবং বগুড়া-৭ আসনের রেজাউল করিম বাবলু।
[৫] সংরক্ষিত আসনের নাহিদ ইজহার খান, শিরীন আহমেদ, জান্নাতুল বাকিয়া, অ্যারোমা দত্ত, রওশন আরা মান্নান, অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
[৬] রাজনৈতিক সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, নেতাকর্মীরা সংক্রমিত হয়েছেন কারণ তারা মানুষের পাশে ছিলেন। তারা নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য কোনও নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে ছিলেন না। এ কারণেই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
[৭] যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করার মধ্য দিয়ে যেমন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করা যায়, তেমনি আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আর সেই কাজটি আমরা করেছি।
[৮] তিনি বলেন, হাজার হাজার কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু তারা মাঠ ছাড়েনি। তারা সবসময় মাঠে থেকেছে, এমনকি করোনা রোগীদের দাফন পর্যন্ত করেছেন। সম্পাদনা: রাশিদ