শরীয়তপুর প্রতিনিধি: [২] শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সাত বছর পর দেশে ফিরেই হত্যার শিকার হয়েছেন দাদন খলিফা (৩০) নামক এক যুবক। পূর্ব শক্রতার জেরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
[২] বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার গয়ঘর গ্রামের নুরুল হক খলিফার বাড়ির মসজিদের সামনে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। শুক্রবার ভোর ৪টায় আহত অবস্থায় ঢাকা নেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। নিহত দাদন খলিফা উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গয়ঘর গ্রামের সেকেন্দার খলিফার ছেলে। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
[৩] পুলিশ জানায়, গয়ঘর গ্রামের ইদ্রিস খাঁর সঙ্গে দাদনের বাবা সেকেন্দার খলিফার দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় গয়ঘর গ্রামের নুরুল হক খলিফার বাড়ির মসজিদে নামাজ পড়ে দাদন বের হন। এসময় সেখানে আগে থেকে ওতপেতে থাকা ইদ্রিস খাঁ, এসকান্দার সরদারসহ ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকেন। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। দাদনকে স্থানীয়রা শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা নেয়ার পথে পোস্তগোলা এলাকায় তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সেকান্দর খলিফা বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো ১৫ জন অজ্ঞাত আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
[৪] এ ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
[৫] এব্যাপারে দাদন খলিফার বাবা সেকেন্দার খলিফা বলেন, ইদ্রিস খাঁর নেতৃত্বে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। তিনি আরও বলেন, সাত বছর মালেয়শিয়া থাকার পর গত ৩০ মার্চ দেশে ফেরত আসে। কয়েকদিন হলো বিয়ে করেছে। এসময়ই সন্ত্রাসীরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
[৬] এব্যাপারে পালং থানার ওসি মোহাম্মদ আক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা: হ্যাপি