রহিদুল খান : [২] বৃহস্পতিবার দুপুরে কেশবপুর উপজেলার পল্লীতে এ দুর্ঘটনা ঘটনা। এসময় আহত হয়েছেন শিশুটির মা ও বোন।
[৩] কেশবপুর থানা পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার বাউশলা গ্রামের মিজানুর রহমানের শিশুপুত্র আব্দুর রহমান (১০) বাড়ির পাশে খেলা করছিল। একপর্যায়ে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা নিয়ে খেলা করা শুরু করে। কিছুক্ষণ পর বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।
[৪] বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহমান (১০) মারা যায়। পাশে থাকা তার মা নিলুফা বেগম (৩০) ও বোন মারুফা (৩) গুরুতর আহত হন।
[৫] বোমা বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে প্রথমে কেশবপুর হাসপাতালে আনে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত দুইজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
[৬] কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন জানান, তিনি খবর শুনেই ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে আটক করা হয় বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ফারুক হোসেনকে।
[৭] এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সালাহউদ্দিন শিকদার জানান, ওই পরিবারটির একটি শ্যালো মেশিন ও যন্ত্রাংশের ব্যাগ বাড়িতে আনা হয়। কিন্তু মেশিনটি চালু না হওয়ায় গৃহস্বামী মিজানুর তার স্ত্রী নিলুফাকে ব্যাগ খুলে যন্ত্রপাতি বের করতে বলেন। কিন্তু ব্যাগটি থেকে যন্ত্রপাতি নামানোর সময় সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে।
[৮] এডিশনাল এসপি আরো জানান, বোমাটি ব্যাগের মধ্যে ছিল বলে ধারণা করা যায়। কেউ হয়তো বোমাটি ব্যাগের মধ্যে রেখেছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
[৯] বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সম্পাদনা: জেরিন আাহমেদ