সাদ্দাম হোসেন:[২] ঠাকুরগাঁওয়ে লক ডাউনের দ্বিতীয় দিনেও প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে রয়েছে পুরো জেলা। গত বুধবার প্রথম লক ডাউনের শুরুর দিনেই পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিষেধাজ্ঞা না মানায় বেশ কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।
[৩] এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনেও পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট, সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও অন্যান্য উপজেলাতেও কঠোর হতে দেখা গেছে প্রশাসনকে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনায়, বিনা কারনে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় ৭ জন, দোকান খোলা রাখায় ৩জন, অটোবাইকে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৫ জন, মাস্ক না পড়ায় ৫জন সহ মোট ২০ জনকে অর্থদন্ড প্রদান করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
[৪] অন্যদিকে সদর উপজেলার গড়েয়া বাসস্ট্যান্ড, কালিতলা, চন্ডিপুর, লীলার হাট, বাগেরহাট, গড়েয়া হাট, লাউথুতি বাজার, তুরুগপোতা বাজার, ভুল্লী বাজার, পৌর শহরের চৌরাস্তা, ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে মনিটরিং করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম। এ সময় নিয়ম না মানায় এক হোটেল মালিক, একটি গার্মেন্টস মালিককে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
[৫] এছাড়াও অন্যান্য স্থানে বিভিন্ন হাট, বাজার, শপি মলসহ বিভিন্ন স্থানে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করণে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট ও জেলার গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় ট্রাফিক পুলিশকেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন