রাশিদুল ইসলাম : [২] পাকিস্তানকে সন্ত্রাসে আর্থিক মদত, অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মতো ব্যাপারে ২১টি হাই রিস্ক অর্থাৎ প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে ব্রিটেন। এই দেশগুলিতে কর সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ দুর্বল, সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অর্থ খরচ, বেআইনি অর্থ লেনদেনের ওপর জোরদার নজরদারি ব্যবস্থার অভাব আছে। এসব দেশকে বিপদ বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সরকার। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] পাকিস্তানের পাশাপাশি ঝুঁকিতে ভরা তৃতীয় দেশগুলির তালিকায় উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া, বার্বাডোজ, ইয়েমেন, মায়ানমার, ইরান, মরিশাস, মরক্কো, পানামা, কম্পোডিয়া, জামাইকা, ঘানা, সেনেগাল, উগান্ডা, আলবানিয়া, জিম্বাবুয়েও আছে।
[৪] ব্রিটেন ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে নতুন একটি আইন এনেছে। গত ২৬ মার্চ চালু হয়েছে বেআইনি আর্থিক লেনদেন, সন্ত্রাসবাদে অর্থ নিয়োগ, তহবিল অদলবদল (দাতার সম্পর্কে তথ্য) নিয়ন্ত্রণ সংশোধনী ২০২১, লিস্টিং। এর আওতায় ব্রিটিশ সরকার চতুর্থ অবৈধ আর্থিক লেনদেন নির্দেশের ৯.২ ধারার আওতায় নির্ধারিত কাজকর্মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ ঝুঁকি তৃতীয় দেশ হিসাবে চিহ্নিত দেশকে প্রবল ঝুঁকিতে ভরা তৃতীয় দেশ বলে চিহ্নিত করতে পারবে।
[৫] ২০১৮ থেকে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) এর ‘ধুসর তালিকা’য় থাকা পাকিস্তান চেষ্টা করছে এই তালিকা বের হওয়ার জন্যে। ব্রিটিশ সরকার তাদের উচ্চ ঝুঁকির নিয়মবিধির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করায় তা দেশটির জন্যে আরো জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।
[৬] গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এফএটিএফ জানিয়ে দেয়, সব তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে আর্থিক বিধিনিষেধ যতদিন না সফল ভাবে কার্যকর করার পরিচয় দিচ্ছে, ততদিন পাকিস্তান ধুসর তালিকাতেই থাকবে। ওই তালিকা থেকে নাম কাটাতে ইমরান খান সরকারের যে ২৭ দফা অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ করার কথা ছিল, তারা তা বাস্তবে করে উঠতে পারেনি।
[৭] এক বিবৃতিতে এফএটিএফ বলেছে, পাকিস্তানকে অবশ্যই সব ১২৬৭ ও ১৩৭৩ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট আর্থিক পদক্ষেপ কঠোর ভাবে প্রয়োগ করে দেখাতে হবে। পাকিস্তানের এ ব্যাপারে কতখানি অগ্রগতি হয়েছে, তা জুনের পরবর্তী বৈঠকে খতিয়ে দেখা হবে।