মেহেদী হাসান: [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে সরকার ‘লকডাউন লকডাউন’ খেলছে অভিযোগ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে সরকার কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করছে।
[৩] সোমবার ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে করোনাভাইরাসে প্রতিদিন শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি, হাসপাতালে শয্যা, অক্সিজেন ও আইসিইউ সংকট, শ্রমজীবী মানুষ ও দরিদ্রদের কোনো সহায়তার ব্যবস্থা না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
[৪] বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ‘কঠোর’ লকডাউনের যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তাতে ‘দিন আনা মানুষগুলো’র জন্য কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তা বলা হচ্ছে না।
[৫] অন্যদিকে, সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় সরকার ‘উদাসীন’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের।
[৬] সোমবার এক বিবৃতিতে জাপা চেয়ারম্যান বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়ার এক বছর পার হলেও দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে সিট পাচ্ছে না। পয়সা খরচ করেও আইসিইউ পাচ্ছে না মারাত্মকভাবে আক্রান্ত রোগীরা। আর হতদরিদ্র মানুষের জন্য করোনা চিকিৎসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
[৭] ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, গেল বছর মার্চ থেকেই আমরা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিটি জেলা সদরে আইসিইউ স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছি। পর্যাপ্ত অক্সিজেন সহায়তার প্রস্তুতি রাখতে পরামর্শ দিয়েছি সরকারকে। কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। চিকিৎসা না পেয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় সরকারে উদাসীনতা সবার সামনে পরিষ্কার।
[৮] জাপা চেয়ারম্যান বিবৃতিতে বলেন, “সরকার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, সেগুলো দরকার আছে। কিন্তু এই মুহূর্তে তার চেয়ে বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন। সম্পাদনা : রাশিদ