আশরাফুল আলম খোকন: ডায়েরি লেখার অভ্যাস আমার নেই। যদিও খুব ইচ্ছে ছিল ডায়েরি লিখবো। হয়তো একসময় এই ডায়েরি-ই আমার না বলা অনেক কথা বলতো। সুখ-দুঃখের মুহূর্তগুলো, জীবন-সংগ্রামের প্রতিটি বাক আমার সন্তান ও পরিবারের কাছে স্মৃতি হয়ে থাকতো। ইংরেজিতে একটি কথা আছে ‘বেটার লেট দ্যান নেভার’। ভাবছি এখন থেকে ডায়েরি লিখবো। পেছনের বিষয়গুলোও যতোদূর মনে পড়ে এখন থেকে টুকে রাখবো। বলতে কোনো সংকোচ নেই, এই উৎসাহ আমি পেয়েছি এমন একজনের থেকে যিনি এখন তার সন্তানদের কাছেও অনেকটা অস্পৃশ্য। পেশায় বিউটি পার্লারের কর্মী। হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী, মনোনিক বউ কিংবা শরিয়তি বউ। দেশের আইন অনুযায়ী যার কোনো বৈধতা নেই। আর ডায়েরির লেখা তথ্যই বলে এখনো তাদের বিয়েই হয়নি। পরিবেশ পরিস্থিতিতে মানুষ বাঁচার জন্য হয়তো অনেক কথা বলে। কিন্তু সঠিক সত্যিটা ডায়েরি বলে দিয়েছে।
জান্নাত আরার দুঃখী জীবনের অমানবিক কাহিনিও ডায়েরিতে উঠে এসেছে। আলেম নামধারী একজন মানুষ, যিনি মানুষকে ধর্মের কথা বলেন, কারো কাছে পীর, আবার কারো কাছে রুহানি পিতা। সেই মানুষটি কতোটা নিষ্ঠুর, কতোটা অমানবিক, কতোটা নিকৃষ্ট সেই সত্যটা ডায়েরি বলে দিয়েছে। শুধু কাম লালসা চরিতার্থ করতে একটি সংসার কীভাবে ভেঙেছে, কীভাবে দুই সন্তানের জননীকে রক্ষিতা হতে বাধ্য করেছে সব বর্ণনাই হয়তো পাওয়া যাবে ডায়েরিতে। সুন্নতি দাড়ি, টুপির অবমাননা এবং এর নিচের কুৎসিত চেহারাটা এই ডায়েরি বের করে এনেছে। ডায়েরির কথা একান্তই ব্যক্তিগত হয়। সব হয়তো জনসম্মুখে আনা উচিত না। জান্নাত আরা ইতোমধ্যে যেহেতু প্রকাশ্যে এসে পরেছে, দেশে বর্তমানে আলোচিত একটি চরিত্র সুতরাং এই ডায়েরির লেখা প্রকাশ্যে আসতেই পারে। জান্নাত আরার সম্মান রক্ষা করে পত্রিকাগুলো ডায়েরির লেখাগুলোর ধারাবাহিক প্রকাশ করতেই পারে। এর মাধ্যমে ধর্মের লেবাসধারী এই ভন্ডদের মুখোশ আরো উন্মোচিত হবে এবং আরও অনেক মা বোন তাদের কথিত মানবিক লালসা থেকে মুক্তি পাবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :