কামাল হোসেন: [২] দেশব্যাপি করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতায় সরকারি নির্দেষে সারাদেশে ৭দিনের ‘লকডাউন’ এর শেষ দিনে দ্বিতীয় দফা ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে হাজারো মানুষ। ৭দিনের বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে শেষ দিনেও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচল করছে ফেরি। এতে গাদাগাদি করে ফেরিতে পার হচ্ছে সাধারণ যাত্রী।
[৩] রোববার (১১ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন দেখা যায়, দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা শহরগুলো থেকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে করে এসে ফেরি পার হয়ে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট প্রান্তে এসে ভিড় করছে। এখান থেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইজিবাইক, মাহিন্দ্র, মোটরসাইকেল, নসিমন, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে গন্তব্যস্থলের দিকে রওয়ানা করছে। সরকারী ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলা হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে তা লক্ষ করা যায়নি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রীর চাপ আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
[৪] হোটেল ব্যবসায়ী আবছার উদ্দিন বলেন, চলমান কঠোর লকডাউনে এমনিতেই ব্যবসা মন্দা। তার উপর চোর-পুলিশ খেলে ব্যবসা চালানোও অসম্ভব। আর তাছাড়া সামনের কঠোর লকডাউন এবং রোজায় ব্যবসা এমনিতেই বন্ধ রাখতে হবে তাই আগে থেকেই চরম ঝুঁকি থাকা সত্তেও স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে আগেই চলে আসলাম।
[৫] বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের (এ জি এম) ফিরোজ শেখ বলেন, বর্তমান ঘাটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এই সপ্তাহের শেষ দিক থেকে সরকার লকডাউনের ব্যাপারে আরও কঠোর হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যেসব গাড়ি দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছে, তা দ্রুত ফেরিতে উঠছে। অপরদিকে দিকে রাজধানী ছাড়তে থাকা মানুষের চাপ বেড়েছে ঘাটে। যার ফলে ফেরিগুলোতেও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :