ফিরোজ আহম্মেদ: [২] দুপুর ১২টা। বিয়ে বাড়ীতে প্রায় সব আয়োজন প্রায় শেষ। আর কিছু সময়ের মধ্যেই চলে আসবে বর ও তার সঙ্গীরা। কিন্তু এরিমধ্যে কনের বাড়িতে হাজির হলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহা।
[৩] তিনি এ সময় অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যার বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন। সেই সাথে বাল্য বিয়ে আয়োজন করার অপরাধে কনের বাবা আব্দুল হাকিমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এমন খবর পেয়ে মাঝপথ থেকেই পালিয়ে যান বরসহ তাদের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের সুবিদপুর গ্রামে।
[৪] কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট সূবর্ণা রানী সাহা জানান, বাল্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে সুবিদপুর গ্রামের কনের বাড়িতে হাজির হন। সেখানে দেখেন বিয়ে বাড়ির প্রায় সকল আয়োজন সম্পন্ন। এখনো বরপক্ষ আসেনি। তাদের জন্য খাবার ও প্যান্ডেল করে চেয়ার টেবিল সাজানো রয়েছে। কনেকে ডেকে দেখেন তার বয়স ১৮ বছর হয়নি। এজন্য কনের বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে কনের বাড়িতে ইউএনও পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে মাঝপথ থেকে পালিয়ে যান বরসহ তাদের লোকজন।
[৫] এসময় বাল্য বিবাহের আয়োজন করার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে না দেওয়ার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সম্পাদনা: সাদেক আলী