কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের ভার্চুয়াল সাইড ইভেন্টে বাংলাদেশের অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছা দূত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল একথা বলেন।
[৩] অটিজম নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে উল্লেখ করে করে বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে টেকসই ও ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন আনতে পেরেছে।
[৪] বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন সমাজে অটিজমের শিকার পরিবারবর্গ যে সকল সামাজিক চ্যালেঞ্জ ও নিগ্রহের মুখোমুখি হয় তার উদাহরণ টেনে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শক্তিশালী তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো এবং বিস্তৃত কমিউনিটি-ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা অনেক পরিবারকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করেছে।
[৫] চলমান পরিস্থিতিতে অটিজমের ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবার যে ধরনের সামাজিক নিগ্রহের শিকার হয় তা মোকাবেলাসহ এসংক্রান্ত সামগ্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর এবং সশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে গত ৭ বছর ধরে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি।
[৬] অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জাতিসংঘে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কুয়েত, পোল্যান্ড, কাতার ও কোরিয়া স্থায়ী মিশন এবং জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী বিভাগ ও অটিজম স্পিকস।
[৭] ইভেন্টটিতে স্বাগত বক্তব্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেন, ডিজঅর্ডারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বাংলাদেশ শক্তিশালী আইন প্রণয়ণ ও বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধিতা সহায়ক ই-সেবা, রেফারেল সেবা এবং দেশব্যাপী সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ।
