সালেহ্ বিপ্লব: [২] ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমেরিকান উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর জন্য শিল্প-কারখানা স্থাপনের সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।’ বাসস
[৩] বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশী বিনিয়োগে আইসিটি শিল্পের জন্য ২৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে একটি হাই-টেক পার্ক নির্মাণের মাধ্যমে আইসিটি খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিচ্ছি।’ এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উভয় দেশেরই পর্যাপ্ত নীতিগত সমর্থন রয়েছে।
[৪] অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, যুক্তরাষ্ট্রের চেম্বার অব কমার্সের দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র সহ-সভাপতি নিশা দেশাই বিসওয়াল, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি ড: শেখ ফজলে ফাহিম, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার এবং বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট বক্তব্য রাখেন।
[৫] শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দ্রুত বর্ধনশীল অভ্যন্তরীণ বাজার এবং ৪ বিলিয়ন ভোক্তার বিরাট আঞ্চলিক বাজারের সাথে বর্ধনশীল যোগাযোগ ব্যবস্থা-এ দেশেকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্যে পরিণত করেছে।’
[৬] তিনি বলেন, আমরা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য টেকসই ভৌত-অবকাঠামো, আইনী ও আর্থিক সুবিধা দিচ্ছি। আমার সরকার বাংলাদেশে দ্রুত শিল্পায়ান ঘটাতে ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন করছে। আর আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথ যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই একটি শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আমাদের পাশে থেকেছে। এটা আমাদের রপ্তানীর সর্ববৃহৎ গন্তব্য, সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস, আমাদের দীর্ঘ-দিনের উন্নয়ন অংশীদার এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
[৭] প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, যার ৮০ শতাংশই তৈরি পোশাক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রপ্তানীকারকরা গড়ে ১৬ শতাংশ শুল্ক দেয়। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সুতা, সয়াবিন ও গমের মতো শিল্প-কাঁচামাল ও ভোগ্য-পণ্য ক্রয় করি। বাংলাদেশে এই সব পণ্য বিনা-শুল্কে আমদানি হয়। বিদেশী সাহায্যের উপর বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের দেশের লাখো তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :