মোঃ সাগর আকন:[২] বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার টেংরাগীরি ও পাথরঘাটার হরিনঘাটা বনাঞ্চলের প্রায় ৮০ হাজার বড় গাছ কেটে নিয়ে গেছেন এলাকার বনদস্যুরা।
[৩] কমছে বনের গাছ আর আয়তনে ছোট হচ্ছে বনাঞ্চলগুলো। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব বন রক্ষা করতে না পারলে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলসহ পুরো বরিশাল বিভাগ।
[৪] বন বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০ সালে ১৩ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৩ একর আয়তন নিয়ে টেংরাগিরি বনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার।
[৫] তবে ৬০ বছরের ব্যবধানে বনের আয়তন না বেড়ে সাগর গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার একরেরও বেশি এলাকা। সাগর গর্ভে চলে গেছে প্রায় তিন লক্ষাধিক গাছ।
[৬] টেংরাগিরি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, বনের ভিতর থেকে বড় বড় সুন্দরি, কেওড়া, গেওয়া গাছসহ নানান প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে গেছে বনদস্যুরা। বনের দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশের তীব্র ভাঙনে অনেক গাছ পড়ে আছে। বনটি সংরক্ষিত হওয়ার কারণে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ হলেও বনের মধ্যে অবাধে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
[৭] টেংরাগিরি এলাকার বাসিন্দা জেলে ফারুক, সোবাহানসহ স্থানীয়রা বলেন, প্রতিনিয়িত বনের মধ্যে গাছ কাটে দস্যুরা। বন বিভাগ কোনো পদক্ষেপ নেয়,না।
[৮] স্থানীয় হাইরাজ মাঝি বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে এই বনাঞ্চল রক্ষা করে আমাদের। দিনের পর দিন এসব বন ছোটো হয়ে আসছে। ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা।
[৯] বরগুনা সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ শাহ আলম জানান, সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় সমুদ্রের পানির সঙ্গে পলিমাটি যুক্ত জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে বনের মধ্যে। তাই ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের শ্বাসমূল দীর্ঘ সময় ঢেকে থাকার কারণে অনেক গাছ মারা যাওয়ায় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে।
[১০] এ বিষয়ে বন বিভাগ বরগুনা রেঞ্জের কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান জানান, ভাঙন কবলিত এলাকায় নতুন করে বনায়ন করে শেল্টার বেল্ট তৈরি করে ভাঙন রোধ করা হবে। এছাড়া নতুন করে কিছু চরাঞ্চলে বনায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন
আপনার মতামত লিখুন :