বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:[২] গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
[৩] বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আর্থিক সুবিধাসহ প্রাপ্যতার তারিখ থেকে আপগ্রেডেশন, শিক্ষা ছুটি বিপরীতে যোগদানকৃত শিক্ষকদের চাকুরী স্থায়ীকরণ নিয়ে প্রশাসনের খামখেয়ালি আচরণ ও সময়ক্ষেপণ নীতি আপগ্রেডেশনের বিষয়টিকে জটিল থেকে আরও জটিলতর করে তুলেছে, যার নিমিত্তে শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
[৪] দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন দ্রুত কার্যকর করতে ভিসির সাথে শিক্ষক সমিতি বারবার আলোচনা করলেও তা শুধু আশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। শিক্ষক সমিতির চাপের মধ্যে আপগ্রেডেশন এর ভাইভা শেষ করলেও, দীর্ঘ ১ মাস ধরে রিজেন্ট বোর্ড সভা আয়োজনের কোন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি, যা প্রশাসনের আন্তরিকতার অভাব বলেই শিক্ষক সমিতি মনে করে।
[৫] এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত সাধারণ সভায় সাধারণ শিক্ষকদের সম্মতিক্রমে ৫ এপ্রিলের মধ্যে রিজেন্ট বোর্ড সভা আয়োজনের কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে ৬ এপ্রিল থেকে সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, তা শিক্ষক সমিতি মাননীয় উপাচার্যকে অবহিত করে।
[৬] এরই ধারাবাহিকতায়, শিক্ষক সমিতির সাথে ভিসি আলোচনায় বসেন। উক্ত আলোচনায় ভিসি ১২ এপ্রিলের মধ্যে প্রাপ্যতার তারিখ থেকে আপগ্রেডেশন কার্যকর করার লক্ষ্যে রিজেন্ট বোর্ড সভা আয়োজন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এই আলোচনার প্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতি ভিসিকে তার প্রতিশ্রুতি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করার দাবি জানায়।
[৭] ভিসি ৫ এপ্রিলের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ভাবে রিজেন্ট বোর্ডের তারিখ (১২ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন বলে শিক্ষক সমিতিকে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, গত ৪ এপ্রিল শিক্ষক সমিতি পুনরায় রিজেন্ট বোর্ড আয়োজন করার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ভিসির সাথে দেখা করে।
[৮] কিন্তু লকডাউন এর কথা বলে রিজেন্ট বোর্ড আয়োজন করার বিষয়ে ভিসি অপারগতা প্রকাশ করেন। কারণ হিসেবে আরও বলেন যে, হায়ার বোর্ড, কর্মকর্তা - কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন বোর্ড করতে অফিস খোলা রাখা লকডাউনের জন্য সম্ভব না।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন