মাসুদ রানা: ঢাকার সোনারগাঁওয়ের এক রিসৌর্টে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের সঙ্গিনী বিষয়ক জটিলতার মাত্র একদিন আগে ফেইসবুকে একটি পৌস্টিংয়ে লিখেছিলাম নীচের কথাগুলোঃ "আমার ধারণা, প্রত্যেক নেতার একেকটি 'আমলনামা' আছে শেখ হাসিনার হাতে। তাঁরা সিরিয়াস আন্দোলনের প্রস্ততি নিলেই, অবৈধ সম্পদ সঞ্চয় ও যৌনাপরাধের অভিযোগে কারাগারে যেতে হবে এবং খালেদা জিয়ার ভাগ্যবরণ করতে হবে।
যে-সব বিপ্লবী দলে যে-যে নেতা আছেন, তাঁদের যে কী আমলনামা শেখ হাসিনার হাতে আছে, তা ঐ নেতারা ও শেখ হাসিনাই জানেন। কিন্তু কর্মীরা নির্দেশ চায় কঠোর সংগ্রামের। তারা নেতাদেরকে নেতৃত্বদানে দেখতে চায় রাজপথে সংগ্রামে। আমলনামা হেফাজতের নেতাদেরও আছে। কিন্তু সে-আমলনামার হিসেবে এসে পড়ে এদের বিশাল মাদ্রাসা বাহিনী" রাজনীতি-আগ্রহীদেরকে উপরের দু'টো বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দিতে বলবোঃ (১) 'আমলনামা' সম্পর্কে শেখ হাসিনা তথা সরকারের তথা রাষ্ট্রের জানা, এবং (২) হেফাজতের 'আমলনামা'র হিসেবে মাদ্রাসাবাহিনী।
মামুনুল হকের নারী সঙ্গিনীটি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হোক, কিংবা অন্যের স্ত্রী হোক, ওদের একত্রে রিসৌর্টে গমণের বিষয়টি 'আমলনামা' অনুসারের সরকারী গোয়েন্দস সংস্থার লোকের জানা ছিলো। এটি খুব সম্ভব যে, গোয়েন্দাদের দেওয়া ইণ্টেলিজেন্স ব্যবহার করেই "স্থানীয় লোকেরা" মামুনুল হককে নারী-সহ পাকড়াও করে।
আমার সূত্রানুসারে, আমলনামার হিসেবের মধ্যে ঠিকই মাদ্রাসা বাহিনী তথা হেফাজতের লোকেয়ার অকুস্থলে পৌঁছে গিয়ে পুলিসের হাত থেকে মামুনুল হককে সসঙ্গিনী উদ্ধার করে। এমনও হতে পারে যে, শেখ হাসিনার সরকার মামুনল হককে শুধু একটি 'স্যাম্পল' (sample) বা নমুনা দেখাতে চেয়েছে। শেখ হাসিনা বলতে চেয়েছেনঃ তোমাদের 'আমলনামা' আমার জানা; আমার হাতের বাইরে খেলতে চাইলে কী করতে পারি, তার একটি নমুনা দেখালাম মাত্র! লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড