আরিফুজ্জামান তুহিন: হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের শক্তি কোথায় জানেন? তার অনুগামীরা মামুনুল যা বলবেন, তাই বিশ্বাস করবেন। ফলে আপনি সারাদিন মামুনুলকে ট্রল করেন, তার রিসোর্টে যাওয়া নিয়ে যতোই প্রচার করেন, তাতে মামুনুলের অনুগামীদের কিছু যায় আসে না। এরকম মিলিট্যান্ট শক্তি অন্য কোনো সংগঠনে আছে? নেই। আপনি ভাবছেন, এবার মামুনুলের খুব একটা কিছু করা গেলো। বাস্তবে কিছুই হয়নি। রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করুন।
মামুনুল সাহেবরা যে রাজনীতির কথা বলেন, হেফাজত ইসলাম যে ১৩ দফার কথা বলে, সেটাকে পলিটিক্যালি খারিজ করুন। শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষের মূল শত্রু পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। কে কার বউ ভাগিয়েছে এসব ‘বস্তি’র কলতলার অত্যন্ত নিম্নমানের আলাপ। এখানে আপনাকে মানায় না বরং এটা ভাবুন, মিলিট্যান্ট হতে পারলে রাষ্ট্রের মুখোমুখি কীভাবে দাঁড়ানো যায়। ভারতের শাসকশ্রেণি যেমনটা বলছিলেন যে, মাওবাদী আন্দোলনটা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দেখা গেলো ছত্তীসগড়ের দান্তেওয়াড়ার মাওবাদীদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ২২ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩১। এখনও নিখোঁজ একজন। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এই যে একটা সশস্ত্র আন্দোলন দিনের পর দিন রাষ্ট্রের ঘেরাটোপের মধ্যে থেকেও কীভাবে এক্সিস্ট করে সেটা ভাবুন। তাতে মাথায় প্রচুর অক্সিজেন যাবে। মাথা খোলার জন্য মাথায় প্রচুর অক্সিজেন দরকার। ফেসবুক থেকে