ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই অফিসমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। লকডাউন শুরু হলেও বেশিরভাগ মানুষের অফিস খোলা। কলেজ গেট, বিজয় স্বরণী ও ফার্মগেটে অনেককে পায়ে হেঁটে অফিসে যেতে দেখা গেছে। তবে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম।
[৩] ঢাকার অনেক এলাকায় দেখা গেছে, মানুষ সিএনজি, অটোরিক্সা বা বাইকে করে অফিসে যাচ্ছেন। কেউবা ব্যক্তিগত কাজে ঘর থেকে বের হয়েছেন। অনেকে আবার আজও কোনো না কোনোভাবে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আশায় বের হয়ে পড়েছেন।
[৪] স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রামপুরা সড়ক পর্যন্ত অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ট্রাক, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলাচল করতে দেখা গেছে। এই এলাকা থেকে রামপুরা টিভি সেন্টার পর্যন্ত সিএনজি চলছে। প্রতি সিএনজিতে পাঁচজন করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে, আর ভাড়া মাথাপিছু ৪০ টাকা। বাইকে নেয়া হচ্ছে একজনই, ভাড়া ১০০ টাকা।
[৫] রামপুরা রোডে অনাবিল পরিবহনের দুইটি বাস চলতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধির কোনও বালাই নেই। হাতিরঝিলের চক্রাকার বাস বন্ধ। বাস স্টেশনের সামনে থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত চলছে সিএনজি। প্রত্যেক সিএনজিতে যাত্রী উঠছে ৫ জন করে। আর প্রত্যেক যাত্রী থেকে নেওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা ভাড়া।
[৬] কথা হয় অফিসগামী বেশ ক’জনের সঙ্গে। তারা বলেন, বেশিরভাগ অফিস খোলা, কিন্তু লোকাল বাস বন্ধ। শুধু লোকাল বাস বন্ধ রাখার নামই কি লকডাউন।
[৭] তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও ধানমণ্ডি এলাকায় দেখা গেছে, দোকানপাট ও খাবার হোটেল খোলা। হোটেলে বসেই খাবার খাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।এক হোটেলের ম্যানেজার বলেন, দোকান খোলা না রাখলে মানুষ খাবে কী? এই জন্য আমরা হোটেল খোলা রেখেছি।
[৮] সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে দোকানপাট, শপিংমল। কেবল ওষুধ ও খাবারের দোকান খোলা থাকবে। রোববার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :