কায়সার হামিদ: [২] কক্সবাজারের উখিয়ায় কুতুপালং বাজারে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল পরিমানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় অগ্নিকান্ডে ৩ রোহিঙ্গা পুড়ে মারা গেছেন।
[৩] নিহতেরা হলেন, আনসারুল্লাহ, ফয়েজুর রহমানও মুহাম্মদ আয়াছ । নিহত ৩ জনের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। তারা তিনজনই দোকানের কর্মচারী। তিনজনই রোহিঙ্গা।এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রাজাপালং ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও বাজার কমিটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ।
[৪] শুক্রবার ভোর রাত ৩ টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং বাজারে এ আগুন লাগে বলে জানিয়েছেন উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইমদাদুল হক।
[৫] প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।কুতুপালং বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ উসমানের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।
[৬] ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ইমদাদুল হক বলেন, ভোররাত ৩ টার দিকে উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন কুতুপালং বাজারে মার্কেটের এক দোকানে আগুন লাগে।আগুন লাগার খবরটি স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে অবহিত করে।
[৭] খবর পেয়ে সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ভোর রাত সোয়া ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে তার আগে বেশ কিছু দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপনা ভস্মিভূত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও সহযোগিতা করেছে। ঘটনার খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
[৮] ফায়ার সার্ভিসের এ স্টেশন কর্মকর্তা বলেন, আগুনের সূত্রপাতের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকার মতো হতে পারে।
[৯] উখিয়া থানার ওসি আহম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন,কুতুপালং বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
[১০] উল্লেখ্য যে, গত ২২ শেষ মার্চ সোমবার উখিয়ার বালুখালীসহ পাঁচটি আশ্রয় শিবিরে আগুনে ১০হাজার বসতি পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ছয় শিশুসহ অন্তত ১১জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫০জন, গৃহহীন হয়েছিল ৪৫হাজার মানুষ।নিখোঁজ ছিল অন্তত ৪০০জন। সম্পাদনা: সাদেক আলী