শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০২১, ০১:০৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে কং-গডজিলা!

বিনোদন ডেস্ক: মনস্টার জগতের দুই মেগাস্টার- কং ও গডজিলা। বহুদিন পর কোনও ছবিকে ঘিরে উত্তাল বক্স অফিস। দুই দানবের লড়াই দেখতে হলমুখী দর্শকরা। ছবিটি ভারতে প্রায় ৩৩ কোটি রুপির ব্যবসা করেছে ‘গডজিলা ভার্সেস কং’ এ। এই সপ্তাহের শেষেই ব্যবসার অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলতে পারে ৪০ কোটির ঘর। যা করোনা কালেও রীতিমতো স্বস্তি দিচ্ছে হল মালিকদের। কেবল ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই সাফল্যের গ্রাফটা একই রকম আকাশছোঁয়া। সংবাদ প্রতিদিন

ট্রেলার মুক্তি থেকেই পারদ চড়ছিল। তখন থেকেই সারা বিশ্বের কং ও গডজিলা-ভক্তদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়েছিল কে জিতবে এই মহারণে? আসলে সেই কবে ১৯৬৩ সালে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। ইশিরো হন্ডার সেই ছবির পরে পৃথিবী অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তুমুল উন্নতি হয়েছে প্রযুক্তির। ভিএফএক্স-এর জাদুবলে এই ছবি যে রীতিমতো নয়নাভিরাম সুখ এনে দেবে, তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল ট্রেলারেই। সেই প্রত্যাশা মেটাতে পুরোপুরি সফল ‘গডজিলা ভার্সেস কং’। ছবিতে রয়েছে অন্য মনস্টাররাও। তাদের সম্মিলিত উপস্থিতি এই ছবির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।

‘লেজেন্ডারি এনটারটেনমেন্ট’-এর মনস্টার ইউনিভার্সের এটা চতুর্থ ছবি। আগের তিনটি ছবি ‘গডজিলা’, ‘কং: স্কাল আইল্যান্ড’ ও ‘গডজিলা: কিং অফ দ্য মনস্টার্স’ দেখা থাকলে এই ছবিকে প্রথম থেকে বুঝতে সুবিধা হবে। তবে দেখা না থাকলেও খুব বেশি সময় লাগে না ছবির সঙ্গে মিশে যেতে। ছবির শুরুতেই এন্ট্রি কংয়ের। গডজিলার দেখা মেলে সামান্য পরে। শেষ ছবিতে দেখা গিয়েছিল গডজিলা আর মানুষের ক্ষতি করতে চায় না। কিন্তু এই ছবিতে প্রথম থেকেই সে রেগে আগুন! কেন তার এই আচমকা মেজাজ বদল? এই প্রশ্নের উত্তরেই লুকিয়ে রয়েছে ছবির আসল ‘টুইস্ট’।

ছবির অন্যতম আকর্ষণ কিংকং ও অনাথ বালিকা জিয়ার সম্পর্কের রসায়ন। মূক ও বধির এই মেয়েটির সঙ্গে ‘অবমানব’ কং যেন এক আত্মিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে। কংকে জাহাজে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার সময়ও সে চুপ করে থাকে কেবল ওই বালিকার জন্যই। নাহলে জাহাজটাকে পাঁপড়ভাজার মতো গুঁড়িয়ে দেওয়াটা কংয়ের কাছে নেহাতই ছেলেখেলা। অন্ধকার সমুদ্রের বুকে ভেসে যেতে যেতে ‘বাড়ি’র জন্য মনখারাপ করে কংয়ের। তখনও ওই ছোট্ট বালিকাই তার মনের কথা বুঝতে পারে। এমনকী মূক ও বধিরদের ‘সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ’ও বুঝে ফেলতে শিখেছে কং।

তবে ছবির বাকি চরিত্ররা কেউই আলাদা প্রভাব ফেলতে পারে না। কিন্তু সব মিলিয়ে গল্পের গতি এমন মসৃণ যে কীভাবে সময় কেটে যায়, তা বোঝা যায় না। কং ও গডজিলার লড়াই এই ছবির প্রধান ইউএসপি হলেও সেটা যাতে একঘেয়ে না হয়ে যায়, সেজন্য গল্পে এমন সব ভাঁজ রয়েছে, যে পরে কী হতে চলেছে বোঝা যায় না। গল্প খুব বেশি বলে দিলে ‘স্পয়লার’ হয়ে যাবে। তবে এটুকু বলা যায়, ছবির আসল ভিলেন কিন্তু কং কিংবা গডডিলা কেউই নয়! আর এই অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তিতেই দর্শকদের ঝুলি পূর্ণ হয়ে ওঠে।

চোখধাঁধানো গ্রাফিক্স ও চমৎকার এডিটিং এই ছবির সবথেকে বড় সম্পদ। ছবির প্রথমার্ধে সমুদ্রে কং ও গডজিলার লড়াই ও ক্লাইম্যাক্সে হংকংয়ে দু’জনের সম্মুখ সমরে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক চমকে দেওয়া দৃশ্য। ফলে ছোটরা তো বটেই, তাদের হাত ধরে হলমুখী হওয়া বড়রাও হল থেকে বেরিয়ে নির্দ্বিধায় বলে উঠতে পারেন, ”পয়সা উশুল”।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়